নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বেশভূষায় ছিমছাম। ভালো পোশাক পরে প্রাইভেটকারে করে ঘুরে বেড়াতেন বিভিন্ন এলাকায়। বাইরে থেকে দেখে মনে হতো ভদ্রলোক। কিন্তু তারা চোর। প্রাইভেটকারে করে করতেন ছাগল চুরি, আর পিকআপ ভ্যানে করে করতেন গরু চুরি। মূলত ঈদ-উল-আযহা এলে সক্রিয় হয়ে উঠতো দক্ষিণাঞ্চলের এই সিন্ডিকেটটি।
সম্প্রতি দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা। সেই সূত্র ধরে চুরি যাওয়া পাঁচটি গরু জব্দ করে পুলিশ। এ সময় চোর সিন্ডিকেটের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় চুরিকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও পিকআপ ভ্যানও।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) খাইরুল আলম জানান, গত ১৯ জুন রাতে এয়ারপোর্ট থানার উত্তর কড়াপুরের জাকির হোসেন শাকিলের গোয়ালঘর থেকে চারটি গরু চুরি হয়। ২৬ জুন মাধবপাশা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়ার বাসিন্দা দীলিপ কুমার মণ্ডলের গোয়ালঘর থেকে পাঁচটি গরু চুরি হয়।এ ঘটনায় থানায় হয়। মামলা তদন্তে নেমে পুরো সিন্ডিকেটের তথ্য পায় পুলিশ।
বুধবার (২২ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে তারা তিন চোরকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া পাঁচটি গরু জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সুমন প্যাদা (৩৭), শাহ আলম (৩৫) এবং ইমরান হাওলাদার (২২)। তাদের মধ্যে সুমন প্যাদা ও শাহ আলমকে বরিশাল শহর থেকে এবং ইমরান হাওলাদারকে ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার কৈখালী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে চোরাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
খাইরুল আলম জানান, বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করে পিকআপে উঠিয়ে পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর নিয়ে বিক্রি করতেন তারা। আর প্রাইভেটকারটি ছাগল চুরি ও চুরির স্থান নির্ধারণে ব্যবহার করতেন। চুরিতে জড়িত পুরো সিন্ডিকেটকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) জাকারিয়া রহমান জিকু, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী কমিশনার নাসরিন জাহান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ বিন আলম।
সান নিউজ/ এআর