গিয়াস উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারের বসুরহাট ড্রীম লাইন স্পেশাল (স্টার লাইন গ্রুপ) বাস কাউন্টারে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বসুরহাট ড্রীম লাইন স্পেশাল বাস কাউন্টারের ইনচার্জ মো.মহিন উদ্দিন ওরফে মহিন (৪২) সহ তিনজন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বসুরহাট ড্রীম লাইন স্পেশাল (স্টার লাইন গ্রুপ) বাস কাউন্টারের এ ঘটনা ঘটে।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগী বসুরহাট স্টার লাইন কাউন্টারের ইনচার্জ মো.মহিন উদ্দিন বাদী হয়ে ওমর ফারুক ওরফে হাত কাটা ফারুক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের বড় ভাই পরিবহন নেতা সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আকরাম উদ্দিন ওরফে সবুজ চৌধুরী ও তার ছেলে জিল্লুর রহমান ওরফে লিংকন চৌধুরীসহ ১১জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি
ভুক্তভোগী মহিন ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিবহন নেতা সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আক্রাম উদ্দিন ওরফে সবুজ চৌধুরীর যোগসাজশে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বুধবার সকাল ৯টার দিকে স্টার লাইন বাস কাউন্টারের সামনে বাস রাখাকে কেন্দ্র করে কাউন্টারের ভিতরে প্রবেশ করে বেজায় গালমন্দ করে হাতকাটা ফারুক নামে স্থানীয় এক যুবক। পরে স্টার লাইন কাউন্টারের ইনচার্জ মহিনের সঙ্গে ফারুকের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির মধ্যে মহিন ফারুকের হাতে কাউন্টারে থাকা ছড়ি দিয়ে একটি বাড়ি দিয়ে তাকে কাউন্টার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর ফারুক ও তার ১৫-২০ জন সাঙ্গপাঙ্গ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্টার লাইন কাউন্টারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং ইনাচর্জ মহিনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। একই সঙ্গে সাতটি বাসের ভাড়ার নগদ ২ লক্ষ টাকা,দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন লুট করে নিয়ে যায়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আহত মহিন জানান, পরিবহন নেতা ড্রীম লাইন পরিবহনের মালিক সবুজ চৌধুরীসহ কতিপয় লোকজন গতকাল মঙ্গলবার গোপন বৈঠক করে। স্টার লাইন কাউন্টারে যাত্রী ভালো হওয়ায় তারা উদ্দেশ্য মূলক ভাবে এ হামলা চালায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওমর ফারুকের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন পরে কথা বলবেন বলেন মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
আরও পড়ুন: বীরের রক্ত আমাদের শরীরে
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন নেতা আকরাম উদ্দিন সবুজ চৌধুরী অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,আমি গত সাত দিন ধরে অসুস্থ। তবে ফারুককে মেরে হাত ভেঙ্গে দেয় মহিন। পরে ফারুকও মহিনকে মারধর করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমআর