জামালপুর প্রতিনিধি : স্বামীর নির্যাতনে সীমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামী ও জা'র মধ্যে পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
আরও পড়ুন : বৈশ্বিক সঙ্কটে ফায়দা লুটতে চায় বিএনপি
ঘটনার পর ঘাতক স্বামী ও পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মুদি দোকানদার জুয়েল রানার স্ত্রী। নিহতের ৪ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ডোয়াইল গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে জুয়েল রানার সাথে তার ভাবী রেখা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিলো। এ নিয়ে তিন বছর আগে জুয়েল ও তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর বালিয়া গ্রামের সুরুজ ভুঁইয়ার মেয়ে সীমা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জুয়েল রানা। এ বিয়ের পরও ভাবীর সাথে জুয়েলের পরকিয়ায় চলতে থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিলো।
এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন সীমাকে বেধড়ক মারপিট করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দামাচাপা দিতে হাসপাতাল থেকে লাশ আনার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু বলে প্রচার করে। পথিমধ্যে কেন্দুয়া বাজার এলাকায় নিহতের পরিবার লাশ দেখতে চাইলে জুয়েল আপত্তি জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানিয়েছন, স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতনে গৃহবধূ সীমার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : গৃহবধূকে ধর্ষণ-হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সান নিউজ/এসআই