ঝালকাঠি প্রতিনিধি : অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা, বৈষম্য ও বিধিবর্হিভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন মীরবহরের প্রত্যাহার দাবি করেছেন ৩৪ জন কর্মচারী। এমনকি নির্বাহী কর্মকর্তা পৌরসভায় যোগদানের পর থেকে মেয়রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করছেন এবং কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিচ্ছেন না। এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ কর্মচারীরা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রবিবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও ঝালকাঠির জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে ২০ জনের মৃত্যু
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট নলছিটি পৌরসভায় নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি পৌরসভার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জাকির হোসেন মীরবহর। যোগদানের পর থেকে পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ খানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পৌরসভার কর্মচারী মিজানুর রহমান পান্না ও শাওনকে অকথ্যভাষায় গালাগাল করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বিভিন্ন সময় বিধিবর্হিভূত কাজ করেন। অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা ও বৈষম্যের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় তাঁর ওপর ক্ষুব্দ হয় পৌরসভার ৩৪ জন কর্মচারী। তাঁরা সবাই এক হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেন।
পৌরসভার অফিস সহায়ক মিজানুর রহমান পান্না বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই কর্মচারীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে আসছেন। তিনি মেয়রের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমার বাবার অবসরকালীন ভাতার বিষয়ে কথা বলতে গেলে সে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। শুধু আমি না তাঁর রোষানলে পড়েছে পৌরসভার প্রায় সব কর্মচারী। আমাদের ভেতন ভাতাও বন্ধ রেছেন তিনি। আমরা তাঁর বিচার চাই।
এ ব্যপারে পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ খান বলেন, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা যোগদানের প্রথম দিনেই আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তিনি আমার কোন কথা শোনেন না। এমনকি আমাকে আমার কক্ষ ছেড়ে দিতে বলেন। ওই কক্ষে তিনি বসবেন বলেও জানান। এতো সাহস তিনি কিভাবে পেলেন আমি জানি না। পৌরসভার কর্মচারীরা তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে, এ দাবির সঙ্গে আমিও একমত।
আরও পড়ুন: চীনা নাগরিকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
এ ব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন মীরবহর বলেন, আমি কোন স্টাফের সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি। এটা মিথ্যা অভিযোগ।
সান নিউজ/এসআই