মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধার বিরুদ্ধে এক নারীকে তার বাড়িতে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আ’লীগ
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে সদর থানার ডিউটি অফিসার কাজল দাস অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ বলা হয়েছে, শিলই ইউনিয়নের শিলই গ্রামের ওই নারীর মেয়ের (২৩) সঙ্গে স্থানীয় নাঈম হোসেন অপুর (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে নাঈমের স্ত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পর থেকেই নাঈম শারীরিক ও মানসিকভাবে তার স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধর করতেন। বিভিন্ন সময় তাকে কষ্ট দিত।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ইডেনে কলেজে উত্তেজনা
অভিযোগে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ২১ জুলাই পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালে স্ত্রীকে মারধর করেন নাঈম এবং তাদের একমাত্র সন্তানকে রেখে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে তিনি আরেকটি বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী। পরে শিলই ইউপির চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা নাঈমের স্ত্রীকে মীমাংসার জন্য তার বাসায় যেতে বলেন।
নাঈমের স্ত্রীর অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় গেলে তিনি কোর্ট থেকে মামলা তুলে নেওয়াসহ গর্ভে থাকা ৫ মাসের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বলেন। তা, নাহলে খারাপ হবে বলে হুমকিও দেন।
আরও পড়ুন: প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রাশিয়া
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি গর্ভপাত করাতেও বলিনি, আর রুমা বেগমকে আমার কক্ষে আটকে রেখে, মারধরের অভিযোগটিও সত্য নয়।
পারভেজ মৃধা আরও বলেন, নাঈমের স্ত্রীর সঙ্গে এক ছেলের পরকীয়া ছিল। ২০ জুলাই রাতে ওই ছেলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ২১ জুলাই দু'পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে ও স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সামনে বিচার করা হয়। সেখানে ওই তরুণী নিজের ইচ্ছায় তার স্বামী নাঈম হোসেনকে তালাক দেন।
সান নিউজ/কেএমএল