এস. এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাস জনিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে ক্ষত হয়ে মারা যাচ্ছে। এতে গরু খামারিরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নেই কোন নজরদারি।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ইডেনে কলেজে উত্তেজনা
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২০ টিরও বেশি দিন হলো স্কিন রোগ ভাইরাস জনিত রোগ ছড়িয়ে পড়লেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে কর্মরত চিকিৎসকদের দেখা না পাওয়ায় স্থানীয় কবিরাজ, পল্লী চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গরু খামারিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল করিমকে চিকিৎসার জন্য ডাকলেও অফিসের বাইরে আসতে তিনি নারাজ। তিনি অফিসে গরু নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দেন। তবে এ রোগ গরুর শরীরে দেখা দিলে প্রচুর ব্যাথা হওয়ার কারণে গরু হাটাচলা করতে পারে না। ফলে পল্লী চিকিৎসকেরাই একমাত্র ভরসা। তবে কখনো অফিসের কর্মচারিরা গরুর চিকিৎসা দেয়ার জন্য আসলেও তাদেরকে এক হাজার থেকে এক হাজার পাঁচশত টাকা ভিজিট দিতে হয়।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর অবস্থায় আটক শিক্ষক-ছাত্রী
রোগটি মশা মাছির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কৃষক গরুর চিকিৎসায় ২০/২৫ হাজার টাকা ব্যয় করেও সুফল পাচ্ছে না। এর মধ্যে উপজেলার ছাপড়হাটি গ্রামের ইদ্রিস আলী, কছর আলী, সতিরজান গ্রামের খয়বর হোসেন, শান্তিরাম গ্রামের আমজাদ হোসেন, বাবলু মিয়া, বেলকা গ্রামের বিপ্লব, রাম জীবন গ্রামের আলেফ উদ্দিন, কঞ্চিবাড়ী গ্রামের বাদশা মিয়া,খামারপাঁছগাছি গ্রামের রাকিজুল ইসলাম ও উত্তর ধর্মপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের গরু ল্যাম্পি স্কিন রোগে মারা গেছে।
উপজেলার প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল করিমের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সান নিউজ/কেএমএল