নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে অব্যাহত ভারী বর্ষণে ভূমি ধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে মাইকিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়সহ এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় এই মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।
পাশাপাশি বসবাসকারীরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে যাতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরে নিরাপদে অবস্থান গ্রহণ করতে পারে এজন্য নগরীর চান্দগাঁও, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ এবং কাট্টলী সার্কেলাধীন এলাকায় মোট ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকেই মাইকিং কার্যক্রম শুরু হয়। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে আমরা এখনও কাজ করছি। সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মচারী এবং কাউন্সিলরদের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজনকে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজন সরে গিয়ে তাদের নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনের বাসায় নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারী বর্ষণে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন এলাকায় ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর এবং জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ত্রাণকার্য পরিচালনা করা হবে।’
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, নগরীর মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, ট্যাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিলস এলাকা, রউফাবাদ, খুলশী, পাহাড়তলি, ফয়েজ লেক আকবর শাহ এলাকার ঝিল-১,২,৩ নম্বর এলাকা, জিয়ানগর, মধ্যমনগর, মুজিব নগর, শান্তিনগর এলাকা, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনি এলাকা, ফিরোজ শাহ এলাকা, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এলাকা, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকাসমূহে ভারী বর্ষণের মধ্যে মানুষের জানমালের সুরক্ষায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। স্থানীয় মসজিদগুলো থেকেও মাইকিং এর মাধ্যমে লোকজনকে নিরাপদ অবস্থানে আশ্রয় নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।