সান নিউজ ডেস্ক: সিলেটে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে জেলার সবগুলো প্রবেশ পথ বন্ধ করে রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কোনও ঘোষণা ছাড়াই এ ঘটনার পর থেকে আটকা পড়েছেন ঘরমুখোসহ নানা শ্রেণির মানুষ।
আরও পড়ুন: কম্বোডিয়াকে হারাল বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট থেকে সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্ট অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। কোথাও কোথাও টায়ার পুড়িয়েও প্রতিবাদ জানান শ্রমিকরা। এর আগে ৫ দফা দাবিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলেট জেলায় 'কর্মবিরতি' শুরু করেন সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা। সেদিনের ভোগান্তির পর রাতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানায় এই মামলাটি করেন লেগুনা শ্রমিক শাহাব উদ্দিন। মামলায় মারধর ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এই মামলার জেরেই আজ সন্ধ্যা থেকে আন্দোলনে নেমেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: চিনি ও পাম অয়েলের দাম নির্ধারণ
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর, চন্ডিপুল, টিলাগড় পয়েন্ট,কীনব্রিজ, তেমখিসহ সবকটি পয়েন্টে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত রাখেন রাজপথ।
শ্রমিক ঐক্য বিভাগীয় পরিষদের সিলেট বিভাগীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জুলহাস উদ্দিন বাদল বলেন, নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে আমরা রাজপথে কর্মবিরতি পালন করছি। যতক্ষণ না এই মামলা প্রত্যাহার হবে ততক্ষণ আমরা রাজপথে অবস্থান করবো।
আরও পড়ুন: র্যাবের নতুন ডিজি খুরশীদ হোসেন
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদসহ চার শ্রমিক নেতার নাম উল্লেখ করে ২০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। মামলার বিষয়টি আমরা আজকেই জানতে পেরেছি। আজকে কয়েকজন শ্রমিক পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে এ বিষয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। যিনি আমাদের নামে মামলা করেছেন তাকে আগেই শ্রমিক সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পুলিশও কোন তদন্ত ছাড়াই মামলাটি গ্রহণ করেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। দুই গ্রুপের শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পুরো বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন
এ বিষয়ে কথা বলতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফকে ফোন করা হলে, তারাও ফোনের লাইন কেটে দেন।
সান নিউজ/কেএমএল