নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাগেরহাট: অভাবের তাড়নায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন মেধাবী শিক্ষার্থী সাব্বির মোল্লা। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু টাকার অভাবে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা সাব্বিরের চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
সাব্বিরের নানা-নানী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সঠিক চিকিৎসায় প্রয়োজন দুই লক্ষাধিক টাকা। এ অবস্থায় সাব্বিরকে বাঁচাতে বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের সাইদুল মোল্লা ও বাক প্রতিবন্ধী বিউটি বেগমের ছেলে সাব্বির কচুয়া সরকারি সি এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নানা আব্দুল মজিদ শেখ বলেন, ‘বাবার কোনো জমিজমা না থাকায় ছোটবেলা থেকে আমাদের এখানে থাকে সাব্বির। পরিবারের আর্থিক কষ্টের কারণে লেখাপাড়ার পাশাপাশি বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো। গত ১০ জুলাই কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ রসিকলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের ছাদ ভাঙার সময় সাব্বিরসহ চারজন শ্রমিক আহত হন। সাব্বিরকে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেষ পর্যন্ত খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। পাঁচদিন আইসিউতে থাকার পর কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু বুকের পাজরের ১৬টি হাড় ভেঙে যাওয়ায় সাব্বিরের ফুসফুসে রক্ত জমে আছে। সাব্বিরের চিকিৎসায় আমাদের লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে। আরও লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন তাকে বাঁচাতে। আসলে টাকার অভাবে এখন চিকিৎসা প্রায় বন্ধ।’
সাব্বিরকে বাঁচাতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি। সহযোগিতা করতে যোগাযোগের অনুরোধ জানান সাব্বিরের চাচা সাবুল মোল্লার মোবাইল নম্বর ০১৯০৮৫০৮৮৬৯- এ।
সান নিউজ/ এআর