নিজস্ব প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সাতবর্গ গ্রামের গৃহবধূ রিনা বেগমকে (২৮) যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২০ জুলাই) ভোররাতে স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার গুরুতর আহত রিনাকে বিকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ইয়াবা ব্যবসায়ী স্বামীর নির্যাতনের শিকার রিনা মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের উত্তরবরগ গ্রামের গোলাপ মিয়ার মেয়ে।
রাতে নির্যাতিত রিনার ছোট ভাই সোহরাব মিয়া বলেন, গত বছর মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মাধবপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড পূর্ব গ্রামের মো. হিরা মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়ার সঙ্গে রিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাধবপুর উপজেলার সাতবর্গ গ্রামের ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন শরীফ। কিছুদিন যেতেই রিনা বুঝতে পারেন, তার স্বামী ইয়াবা আসক্ত ও ব্যবসায়ী। বিয়ের মাসখানেক না যেতেই যৌতুকের জন্য রিনার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন শরীফ। নির্যাতনের পরেও রিনা স্বামীর ঘর ছাড়েননি। শরীফকে ইয়াবা সেবনে সব সময় বাধাও দিতেন তিনি।
সোমবার ভোররাতে যৌতুকের জন্য রিনার ওপর নির্মম নির্যাতন চালান শরীফ ও তার ছোট ভাই রতন মিয়া ও বাড়ির মালিক প্রাণ বনিকসহ কিছু সহযোগী। রিনার সারা শরীর ব্লেড দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেন তার শরীফ ও রতন। সকাল নয়টায় গুরুতর আহত রিনাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ফেলে চলে যান তার স্বামী শরীফ। বিকালে ওই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক রনি জানান, রিনার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সান নিউজ/ এআর