সান নিউজ ডেস্ক: নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা জাঙ্গাঙ্গীর আলম বাবুকে (৩৫) ছুরিকাঘাতের অভিযোগে একটি ধারালো ছুরিসহ যুবদল কর্মী শাওন দাস ও এবিএম রায়হানুল হক রাজুকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ।
আরও পড়ুন: বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাটোর সদর থানার এসআই জামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সিংড়া পৌর শহরের চক গোপাল এলাকা থেকে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন শহরের বঙ্গজ্বল এলাকার স্বপন দাসের ছেলে শাওন দাস ও কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে রাজু।
এসআই জামাল উদ্দীন জানান, শুক্রবার রাতে বাবুর স্ত্রী রোজী খাতুন বাদী হয়ে শাওন, রাজু এবং রাজু ছেলে সময়কে আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই পরই পুলিশ অভিযানে নামে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিংড়া থেকে তাদের দুইজন আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ
এর আগে আহত জাঙ্গাঙ্গীর আলম বাবু বলেন, শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ পড়ে বঙ্গজ্বল এলাকার এনডিটিআই মসজিদ থেকে বের হলে শাওন আমার সাথে তর্ক শুরু করে। এক পর্যায়ে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে।
অন্যদিকে, গ্রেফতারের ঘন্টা খানেক আগে অভিযুক্ত শাওন দাস মুঠোফোনে বেশ কয়েকন গণমাধ্যম কর্মীর কাছে অভিযোগ করেন, সুমন ও বাবুরা আমাকে এ পর্যন্ত ৮/১০ বার মেরেছ। পৌর নির্বাচনের আগে বিএনপি মেয়র প্রার্থী আমার বাসায় ভোট চাইতে এলে এরাই আমার বাসায় হামলা ও ভাংচুর করে। মাত্র ৬ দিন আগে সুমন এবং বাবু আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। আমাকে বাঁচাতে আমার বৃদ্ধ মা এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়।
সান নিউজ/কেএমএল