এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে। যার কারণে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন। বর্তমানে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। র্যাব সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করেছে। জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: ৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে লং বিচ হোটেলের বলরুমে নবজাগরণ: 'অপরাধকে না বলুন' শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'ভৌগোলিক দিয়ে কক্সবাজার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই শহরকে সবদিক দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। যাতে শুধু দেশীয় নয় বিদেশি পর্যটকেরাও এখানে অনায়াসে এসে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে। এ জন্য র্যাবের পাশাপাশি কাজ করছে পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনী। '
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি
আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'এখানে যারা প্রশিক্ষণার্থী তারা এখনও কোন অপরাধের সাথে জড়িত নাই। তবে জড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। তাই অপরাধ রোধে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এখান থেকে যারা প্রশিক্ষণ নেবে তাদের দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধি অর্জন করবে।'
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার- ২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আকতার হোসেন, পুলিশের ড. বেনজির আহমদ, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আল-মামুন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ত্রাণ ফিরিয়ে দিল পাকিস্তান
এছাড়া র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল কামরুল হাসান, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, হোটেল সায়মনের পরিচালক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অপরাধ রোধে র্যাব ফোর্সেস ১৫ দিনব্যাপী “নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন” এই কর্মশালার আয়োজন করেছিল। এতে ১০ জন নারীসহ অংশ নিয়েছে ৩৬ জন প্রশিক্ষাণার্থী। তাদের ১৫ জন প্রশিক্ষক ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। বিষয় সমূহ হলো—সেলাই, ড্রাইভিং, ফটোগ্রাফি, ট্যুরিস্ট গাইড, সার্ফিং ও হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁয় বয় এবং হাউজ কিপিং। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের সনদ ছাড়াও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়। যাতে তারা পরিবারের উপার্জনের উৎস্য হতে পারেন।
সান নিউজ/কেএমএল