শফিক স্বপন, মাদারীপুর : মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি
অভিযুক্তরা হলেন- মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ ও হিসাবরক্ষক নাহিদা আক্তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্র মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পের সম্পূর্ণ ব্যয় মেটানো হয়। প্রথম বছর ব্যয়ের জন্য মাদারীপুর কেন্দ্রের বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এই টাকা সরকারি ক্রয়নীতি ও সব আর্থিক বিধি অনুসরণ না করে ঐ তিন কর্মকর্তা নগদ উত্তোলনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মো. ছালেহ উদ্দিন, মো. মামুনুর রশিদ ও নাহিদা আক্তার সরকারি কোনো আদেশের তোয়াক্কা না করে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ জুন ক্লোজিং-এর নামে নগদ উত্তোলন করেছেন।
এরপর সেই টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে খরচ হিসেবে দেখিয়েছেন। এছাড়া নামমাত্র একটি ক্রয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিল ভাউচারে স্বাক্ষর না করলে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
প্রকল্পের ব্যাংক হিসাব নম্বরের মে ও জুন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখলেই সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের সময় অবস্থা ভালো ছিল
তবে মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, অর্থ লোপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অধিকাংশ অর্থ গবেষণা খাতে ব্যয় হয়েছে।
আগামীতে আমাদের অডিট হবে। অডিটেই সব ফলাফল পাওয়া যাবে। আর দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন : অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন পুতিন
এরপর সেই টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে খরচ হিসেবে দেখিয়েছেন। এছাড়া নামমাত্র একটি ক্রয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিল ভাউচারে স্বাক্ষর না করলে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
প্রকল্পের ব্যাংক হিসাব নম্বরের মে ও জুন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখলেই সত্যতা পাওয়া যাবে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সান নিউজ/এইচএন