নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্যের সাবেক একান্ত সচিব ও বর্তমান কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসানকে লাঞ্ছিত করেছেন কর্মচারীরা। সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে কামরুল হাসানের নিজ কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সম্পর্কে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্মচারীরা বলছেন, ওই কর্মকর্তা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আর এ টি এম কামরুল হাসানের অভিযোগ, কর্মচারীরা তাকে হুমকি দিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মচারী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি আরশাদ আলী অভিযোগ করেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকের পদোন্নতি বিভিন্ন কারণে বিলম্ব হয়েছে। রোববার (১৯ জুলাই) তারা ভিসির কাছে আবেদন করেন। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার ভিসি কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিটিংয়ের ফলাফল কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসানের কাছে জানতে তার কক্ষে যান। এ সময় তিনি উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গালাগালি করেন। তখন সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। কর্মকর্তা কামরুল হাসান যাদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন তারা বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
ইতিপূর্বে উপাচার্যের সাবেক পিএস কামরুল হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেজিস্ট্রারকে নিয়ে কুমন্তব্য করেন। সেকশন অফিসার শাহিন হোসেনকেও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দেন। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে স্মারকলিপি ও চিঠি দেওয়া হলে আজও বিচার হয়নি বলেও অভিযোগ করেন আরশাদ আলী।
কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসান পাল্টা অভিযোগ করেন, ভিসির সঙ্গে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি নিজ কক্ষে কর্মকর্তা সমিতির কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বদিউজ্জামান বাদলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তার কক্ষে ঢুকে তাকে বিভিন্ন হুমকি দেন।
সাঁজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেকশন অফিসার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের কক্ষে দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদলের নেতৃত্বে চড়াও হন। প্রাথমিকভাবে হামলা, ভাংচুরের আলামত পাইনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইপক্ষকে ডেকেছি। এখনো কেউ অভিযোগ দেননি।’
সান নিউজ/ এআর