নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রোগীর জন্য কিনে আনা কফিনের মধ্য থেকে গাঁজা পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে কফিনের মধ্যে কাগজে মোড়ানো ২১ পুড়িয়া গাঁজা জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, করোনা ওয়ার্ডে মারা যাওয়া ব্যক্তির ছেলে সোহাগ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কফিনের মধ্যে গাঁজা দেখতে পাওয়ার তথ্য জানালে এসআই মিজানুর রহমান তা জব্দ করেন।
এসআই মিজান বলেন, ‘গাঁজার মালিক কে তা শনাক্ত করা যায়নি। যার দোকান থেকে কফিন কেনা হয়েছে, যিনি কিনেছেন এবং ওই রাতেই উপস্থিত লোকজনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এখনো তদন্ত করে দেখছি।’ তবে এখনো এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের তুলাতলা গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আব্দুল হালিম শনিবার (১৯ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান। করেন। হালিমের ছেলে সোহাগ বলেন, ‘ওয়ার্ডে কর্মরত আবুল খায়েরকে তার চাহিদামতো আড়াই হাজার টাকা দিয়ে দিলে রাত তিনটার দিকে তিনি কফিন নিয়ে আসেন। আমার মা ও আমি আব্বার মরদেহ নিয়ে নিচে নেমে কফিনে রাখতে গিয়ে দেখি, কফিনের মধ্যে কাগজের একটি পোটলা পড়ে আছে। আবুল খায়ের ও অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার লিটনসহ উপস্থিত সবার সামনে সেই পোটলা খুলে দেখি, তাতে গাঁজা রয়েছে।’
কফিন বিক্রেতা বাদশা বলেন, ‘পুলিশ জানিয়েছে, আমার বিক্রি করা কফিন থেকে গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে কফিনের মধ্যে গাঁজা এলো, তা বলতে পারছি না।’
হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন কফিন ব্যবসার আড়ালে অন্য কিছু হচ্ছে কি না তা তদন্তের দাবি জানান।
সান নিউজ/ এআর