নিজস্ব প্রতিনিধি:
উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে মুন্সিগঞ্জের পদ্মায় তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটের কাছে মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। স্রোতের কারণে দেশের দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াতের প্রধান পথ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পদ্মা পাড়ি দিতে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের।
তীব্র স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে নৌরুটে সোমবার (২০ জুলাই) সকাল থেকেই সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল করছে। বিআইডব্লিটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে নৌরুটে ২টি বড় ও ৩টি ছোটসহ মোট ৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে স্রোত মোকাবিলা করে বিকল্প চ্যানেলে পৌঁছাতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। লেগে যাচ্ছে অনেক বেশি সময়।
এদিকে ফেরি স্বল্পতার কারণে শিমুলিয়া নদী পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে সাড়ে ৩ শতাধিক ছোটবড় যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ নৌরুটের যাত্রীরা।
অপরদিকে নদীতে লাগাতার পানি বৃদ্ধির কারণে শিমুলিয়া ঘাটের পল্টুনের অ্যাপ্রোচ বারবার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে গাড়ি ওঠানামা করতেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, বন্যার পানিতে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়ে গত কয়েক দিন যাবত ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বহরের ১৪টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে ৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। নদী পাড়ি দিতেও ৫-৬ ঘণ্টার উপর সময় লেগে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পল্টুনের অ্যাপ্রোচে পানি উঠে গেলে আবার বালু ও ইট দিয়ে উঁচু করে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।