ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত
জানা গেছে,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেশপুর গ্রামে সালেহা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন গোরস্থানের জমি স্থানীয় মহিউল ইসলাম গং কবলা মূলে খরিদকৃত মর্মে নিজেদের দাবি আসছিল।অপরদিকে ওই জমি সিএস ও এসএ রেকর্ডে গোরস্থান ও মুসলমান সাধারণের ব্যবহার্য্য মর্মে স্থানীয় ফজলুর রহমানের লোকজন সাইনবোর্ড দেয়।ওই সাইনবোর্ড মহিউল ইসলামের লোকজন রাতের আধারে তুলে নিয়ে যায়।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভূমি অফিস দলিল গ্রহীতাদের খারিজ বাতিল করে দেয়।শনিবার সকাল ৮ টায় মহিউল ইসলাম ৫০/৬০ জনের একদল লোক নিয়ে ওই জমিতে বেড়া দিতে গেলে স্থানীয় মুসল্লীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।তারা জবর দখলকারীদের বেড়া প্রদানে বাঁধা দিলে ২ পক্ষের মাঝে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেলে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।আহতদের পার্শবর্তী আটোয়ারী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।খবর পেয়ে রুহিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোরস্থান রক্ষা কমিটিরা সভাপতি ফজলুর রহমান জানান,সিএস ও এসএ রেকর্ড মতে গোরস্থানের জমি রয়েছে প্রায় ২ একর।কিন্তু চিনিকলা মাদরাসার সুপার গোপনে গোরস্থানের জমি দলিল মূলে কিনে নিয়ে হালচাষ করে।পরে এসিল্যান্ড অফিস তাদের খারিজ বাতিল করে।আমরা সেখানে গোরস্থানের সাইনবোর্ড দিলে তারা ভেঙ্গে নিয়ে যায়।
অপরদিকে মহিউল ইসলাম জানান,আমরা রেকর্ডীয় মালিক তরিকুল ইসলামের নিকট কিনে নিয়ে চাষাবাদ করে আসছি।আমি আমার জমিতে বেড়া দিতে গেলে গোরস্থান কমিটির লোকজন বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: রাজা হচ্ছেন চার্লস
রুহিয়া থানার ওসি জানান,গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে সংঘাতের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সান নিউজ/এসআই