ঠাকুরগাঁও, প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায়-বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার রাতে রুহিয়া থানা পুলিশ উক্ত মামলা রুজু করে। পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে নওশাদ আলী (৪৩) ও ইসমাঈল হোসেন(৫২) নামে ২ আসামীকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: রানি এলিজাবেথের মৃত্যু বাংলাদেশে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক সহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী করে উক্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কানিকশালগাঁও গ্রামেরিজিন্নাত আলরি ছেলে নওশাদ আলী ও একই গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে ইসমাইল হোসেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয় যে, দেশব্যাপি বিএনপি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে রুহিয়া থানা মহিলা আওয়ামীলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।ওইদিন বেলা ২ টায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হকের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একদল যুবক হাতে রাঠি সোটা লোহার রড,হকিষ্টিক, রামদা ,আগ্নেয়াস্ত্র সহ বে আইনী অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ত্রাস ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এর বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেএম অটো রাইস মিলে হামলা চালায়।আসামীরা উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং বাসার ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওই সময় দোকানপাটে থাকা সাধারণ লোকজন ভয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। আসামীরা নৈরাজ্য চালিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় রুহিয়া থানা আওয়ামীলীগৈর সভাপতি পার্থ সারথী সেন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী করে উক্ত মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন রাজা চার্লস
রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা জানান, ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির একদল উৎশৃংখল যুবক এমপি সাহেবের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।ইতোমধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকি আসামীদের ড়গ্রফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এসআই