নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলায় হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেওয়ার তিন দিন পর মাটি খুঁড়ে নূর হোসেন শাকিল (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা, ভাইসহ পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামে বারে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৩২
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এর আগে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ৯নং মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর এলাকার আব্দুল করিম হাজী বাড়ির পুকুর পাড় থেকে পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে, গত শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে শাকিলকে হত্যা করে লাশ বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো, নিহতের ছোট ভাই এমাম হোসেন (২২), বাবা বশির হোসেন ওরফে বাবুল মিয়া (৬০)।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু
নিহত শাকিল (২৫) উপজেলার ৯নং মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর এলাকার আব্দুল করিম হাজী বাড়ির বশির হোসেন ওরফে বাবুল মিয়ার ছেলে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত শনিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে শাকিলকে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হত্যা করে। এরপর বসতঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নিহতের লাশ দাফন ছাড়া মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য জয়ে ফাইনালে পাকিস্তান
এ বিষয়ে পুলিশ নিহতের বাবুল মিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তার ছেলে শাকিল ২০ হাজার টাকা না পেয়ে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। তারপর পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শাকিল পরিবারের সদস্যের ওপর প্রায় নানা কারণে অত্যাচার করত। এসব ঘটনার জের ধরে পরিবারে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে ওই কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করা যায় না
এসপি আরও জানান, পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের নিহতের ভাই এমাম হোসেন জানায়, নিহত শাকিল মাদকাসক্ত ছিল। মাদক সেবনের টাকার জন্য গত শনিবার ১০টার দিকে সে তার মা ফাতেমা বেগমকে মারধর করে। এতে তার মা অজ্ঞান হয়ে যায়। এটা নিয়ে শাকিলকে তার ভাই এমাম হোসেন গলা টিপে শ্বাসরোধ করে। পরে তার বাবা বশির হোসেন বাবুল মিয়াসহ রাতের আঁধারে মরদেহটি পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সান নিউজ/কেএমএল