নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদপুর: ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেলকে রিমান্ডে এনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (১৯ জুলাই) ভোরে সিআইডির একটি দল ওই দুই ভাইকে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে ঢাকার মালিবাগ সিআইডির কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
বরকত-রুবেলের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানিলন্ডারিংয়ের মামলাটি করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ। ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় ওই দুই ভা্ইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিআইডি এ মামলায় ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ডের আবেদন জানায় ঢাকার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। গত ১৩ জুলাই এ রিমান্ডের শুনানি হয় ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে। ফরিদপুর কারাগারে থাকা অবস্থায় জেলগেটে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে এ শুনানিতে অংশ নেন বরকত-রুবেল। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফরিদপুর কারাগারের জেল সুপার আব্দুর রহিম বলেন, তাদের জিম্মায় থাকা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে বুঝে নেন সিআইডির একটি দল।
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার শহরের গোয়ালচামট মোল্লা বাড়ি সড়কের বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। গত ৭ জুন রাতে মামলাটির আসামি হিসেবে শহরতলীর বদরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বরকত-রুবেলসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
সান নিউজ/ এআর