এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি পৌর শহর এলাকায় অবৈধ ইজিবাইক আটকের প্রতিবাদে দুপুর থেকে ধর্মঘট ও বিক্ষোভে নেমেছে ইজিবাইক শ্রমিকরা। এতে দুর্ভোগে পরতে হয়েছে শহরের ভেতর চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীদের। ইজিবাইক রাস্তায় না থাকায় কয়েকগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে শহরে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ভ্যানে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে চাই
পৌর কতৃপক্ষ বলছেন ঝালকাঠিতে তাদের দেয়া ইজিবাইকের লাইসেন্স সংখ্যা ১১৭০ টি। কিন্তু শহরে অটোর (ইজিবাইজ) সংখ্যা প্রায় ৪হাজার। যা সবই অবৈধ। এতে শহরে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাই পৌরসভা থেকে রোববার সকাল থেকে চেকপোষ্ট বসিয়ে অবৈধ ভাবে চলা ইজিবাইক আটক অভিযান শুরু করে। ৩টি আটক করার পরেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অটো শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। যা দুপুর গড়িয়ে গেলে ধর্মঘটে রুপ নেয়।
ঝালকাঠি ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কেওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান বলেন, 'ঝালকাঠি শহরে রিক্সায় মটর লাগিয়ে অবৈধ যান বানিয়ে চালানো হচ্ছে প্রায় ১০০ টি মটর রিক্সা। সেগুলোর বিষয়ে পৌর মেয়রের মাথা ব্যাথা নেই। সকাল থেকে ইজিবাইক আটক শুরু করেছে। আমরা আমাদের বিক্ষোভ চলমান রাখবো।
শহরে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা জানালেন অনেকেই। পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিমোড় থেকে কলেজ মোড় আসা যাত্রী সুমাইয়া আক্তর বলেন, 'অটো বন্ধ থাকায় ৫ টাকার ভাড়ার পথ ভ্যান গাড়ীতে চড়ে ১০ টাকা দিয়ে আসলাম। এর দ্রুত সমাধান দরকার।'
কলেজ ছাত্র শফিকুর রহমান বলেন, আমি ৩৫ মিনিট দারিয়ে থেকে একটা ভ্যানগাড়ী পেয়েছি, কিন্তু তাতে ৭/৮ জন লোক থাকায় বসতে পারিনি। রিক্সায় আমার গন্তব্যে যেতে ৩০ টাকা লাগবে। যা ইজিবাইকে ১০ টাকা লাগতো। এই ধর্মঘটের সমাধান না হলে প্রতিদিন কলেজে আসা যাওয়ায় খরচ বাড়বে ৮০ টাকা।'
পৌর মেয়র পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, ১১৭০ টি গাড়িকে লাইসেন্স দিয়েছি। বাকি যা আছে সব অবৈধ। লাইসেন্স বিহীন গাড়ি বন্ধে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে তেল আনার পরিকল্পনা নেই
এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সমযোতার তাগিদ দেয়া হয়েছে। রোববার রাত আট টায় ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পুলিশের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঝালকাঠি সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দের কার্যলয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সান নিউজ/এসআই