ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের মাঝে সংর্ঘষে শকিল আহম্মেদ (২৫) নামে একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন : তিস্তার পানি বণ্টন ভারতের ওপর নির্ভর
রোববার ( ৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত ৫টার সময় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।মৃত শাকিল আহম্মেদ স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাঈদ আলমের ভাই।
তিনি ভানোর ইউনিয়ন মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামের মৃত সামশুল আলমের ছেলে।
এ ঘটনায় শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতেই ভানোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সহ ২০ জনকে আসামী করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ভানোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আলম। মামলার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানসহ সকল আসামীরা পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন : রাশিয়া যাচ্ছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন,গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) হলদিবাড়ী জামে মসজিদের ইমাম মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) কে অসম্মান করে কথা বললে প্রতিবাদ জানায় যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম ও মুসল্লিরা।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।এতে উখয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। রাতেই ৪ জনকে আসামী করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
মামলা খবর জানতে পেরে চেয়ারম্যানের লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং শনিবার সকাল বেলা সাঈদ আলম ইউনিয়ন ভুমি অফিসের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মারপিট করে।
আরও পড়ুন : জো বাইডেন রাষ্ট্রের শত্রু
এরপরে তাকে বাঁচাতে তার ভাই শাকিল আহম্মেদ সহ পরিবারের লোকজন ছুটে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম ও তাঁর মৎস্যজীবিলীগ নেতা শাকিল আহম্মেদ গুরুতর আহত হয়। আহতদের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
রোববার ভোর রাত ৫টার সময় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় ভানোর ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। । আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন