নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায় নিরাপরাধ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় অন্যতম মূলহোতা জাফরিন হাসানের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর হায়দার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। তরিকুল ইসলামের আদালত জাফরিনের আটদিন এবং সহযোগী আরমান ও জাহাঙ্গীরের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কানাই লাল সরকার জানান, শনিবার (১৮ জুলাই) বিকালে নগর গোয়েন্দা পুলিশ যশোরের বাঘারপাড়া থেকে শেখ জাফরিন হাসানকে গ্রেপ্তার করে। জাফরিন মশিয়ালী এলাকার মৃত হাসান আলী শেখের ছেলে ও হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ জাকারিয়ার ভাই। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ সভাপতি।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) জাফরিনের ভাই জাকারিয়ার শ্বশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মশিয়ালী ইস্টার্ন গেটে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ সভাপতি জাফরিন ও তাদের আরেক সহোদর মিলটনসহ তাদের বাহিনীর আরো ১০/১২ জনের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সে সময় জাকারিয়া, জাফরিন ও মিলটন স্থানীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এতে মশিয়ালী এলাকার মৃত মো. বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৬০) ও মো. ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মো. সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে রাত সোয়া ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল মারা যান।
এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাত ২টার দিকে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিলটনের বসতবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেন। তারা জিহাদ শেখকে (৩০) গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জাকারিয়াকে বহিষ্কার করেছে থানা আওয়ামী লীগ।
সান নিউজ/ এআর