এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি: ঝালকাঠি সদর উপজেলার কির্তিপাশা ইউনিয়নের কাপরকাঠি গ্রামের একটি পেয়ারা বাগানের মধ্য থেকে এক এনজিও কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারনা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ। ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির পকেটে থাকা আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্রের মাধ্যমে তার নাম সজল চন্দ্র বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আনুমানিক ৩২ বছর বয়সী নিহত সজল কির্তিপাশা ইউনিয়নের ‘দক্ষিণ বাংলা উন্নয়ন সংস্থা’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতো।
আরও পড়ুন: কয়টা মাস ধৈর্য ধরেন
তিনি কয়েক বছর ধরে স্থানীয় পেয়ারা চাষীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ আদান-প্রদান কার্যক্রমে জড়িত ছিল। কেউ হয়তো তাকে হত্যা করে সাথে থাকা টাকা-পয়সা লুটে নিয়ে লাশ পেয়ারা বাগানে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের।
স্থানীয় পরিমল সমদ্দার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাপরকাঠি গ্রামের যতিন কয়ানের পেয়ারার বাগানের মধ্যে সজল চন্দ্রের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে আমরা কৃতিপাশা পুলিশ ক্যাম্প, ইউনিয়ন পরিষদে খবর দেই। দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি থানায় নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে নতুন তদন্ত কমিশন
ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আব্দুর রহিম বলেন, কির্তিপাশা বাজারসহ, পার্শ্ববর্তী কাপরকাঠি, ভীমরুলি ও বাউকাঠি গ্রাম এলাকায় সজল চন্দ্র এনজিও কর্মকর্তা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে পুলিশের সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসবে বলেও আশাবাদি তিনি।
ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, নিহতের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেখে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল