নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালীতে নিরাপরাধ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় অন্যতম মূলহোতা শেখ জাফরিন হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ যশোরের বাঘারপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। জাফরিন হাসান মশিয়ালী এলাকার মৃত হাসান আলী শেখের ছেলে ও মূল অভিযুক্ত শেখ জাকারিয়ার ভাই। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কানাই লাল সরকার জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনার মূলহোতা জাকারিয়ার অন্যতম সহযোগী ও সহোদর জাফরিনকে যশোরের বাঘারপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুলনায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
তিনি আরো জানান, জাফরিন শেখ, জাহাঙ্গীর ও আরমানকে এজাহারে আসামি করে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
১৭ জুলাই জাফরিনের ভাই জাকারিয়ার শ্বশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মশিয়ালী ইস্টার্ন গেটে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ সভাপতি জাফরিন ও তাদের আরেক সহোদর মিলটন বাহিনীসহ আরো ১০/১২ জনের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সে সময় জাকারিয়া, জাফরিন ও মিলটন স্থানীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এতে মশিয়ালী এলাকার মৃত মো. বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৬০) ও মো. ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মো. সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে রাত সোয়া ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল মারা যান।
এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাত ২টার দিকে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিলটনের বসতবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেন। তারা জিহাদ শেখকে (৩০) গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জাকারিয়াকে বহিষ্কার করেছে থানা আওয়ামী লীগ।
সান নিউজ/ এআর