নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশালে ক্রমেই দিনে দিনে বাড়ছে খামারির পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে পশু লালন-পালনের প্রবণতা। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে খামারিসহ ব্যক্তি পর্যায়ে সবসময়ই থাকে ভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি।
এবারের কোরবানিতেও প্রস্তুতির যেন কোনো কমতি নেই। ‘রাজপাল’ তারই প্রমাণ।
‘রাজপাল’ বরিশাল জেলায় আলোচনায় আসা প্রায় ১৫ মণ ওজনের হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু। আদর করে এ নাম রেখেছেন তার মালিক গোলাম হোসেন ঢালী।
উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মুন্ডুপাশা গ্রামের রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার মো. গোলাম হোসেন ঢালী গরুটিকে স্বাভাবিক নিয়মেই বিশেষ যত্নে লালন-পালন করছেন। ৯ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট উচ্চতার কালো রংয়ের এই গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
গরুর মালিক মো. গোলাম হোসেন ঢালী জানান, বিগত ৮ থেকে ১০ বছর ধরে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজের পাশাপাশি গরুও পালন করে আসছেন। প্রতিবছর তিনি কোরবানির ঈদে বিক্রির লক্ষ্যে পশু পালন করে থাকেন। এজন্য গত কোরবানির ঈদের ৮ দিন পর বরিশালের বানারীপাড়ার এক খামারির কাছ থেকে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি লালন পালনের জন্য নিয়ে আসেন। লালন-পালনের শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত গরুটিকে স্বাভাবিক নিয়মে রুটিন মাফিক স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার পরিবেশন করে আসছেন তিনি। এ পর্যন্ত গরুটিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। রাজপালের যত্নের ক্ষেত্রে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে সেজন্য প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মাকর্তাদেরও সহায়তা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শুরুতে এ গরুর পেছনে ৪ থেকে ৫শ টাকা খরচ হলেও এখন এর খাবারের পেছনে দৈনিক ৮শ টাকার মতো খরচ হয়। গেলো ৪ মাসে করোনার কারণে গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। আর হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি সব ধরনের খাবার খায় না। বিশেষ করে গরুটি পরিচ্ছন্ন জায়গায় থাকতে পছন্দ করে, খেতে বেশি ভালোবাসে তাজা খাবার।
মো. গোলাম হোসেন ঢালী জানান, স্বাভাবিক নিয়মে গরুটি লালন-পালন করায় এটি খুবই শক্তিশালী ও সতেজ থাকে সবসময়। আর গরুটি দেখতে বিশালাকৃতির হলেও তার পরিবারের কাউকে কিছু বলে না। ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েরা গরুটির কাছে যায়, খাবার দেয়, হাত দিয়ে ধরে।
এদিকে গরুটি দেখতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্রেতারাও তার বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। তবে, যে দুয়েকজন ক্রেতা এসেছেন তারা কোনো দাম বলেননি। করোনাকালে গরুটির বিক্রি হওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা কাজ করছে বলে জানান গোলাম হোসেন ঢালী।
সান নিউজ/ আরএইচ