কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : প্রেমের টানে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে গোপনে কালী মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছেন দ্বাদশ শ্রেণির এক কলেজ ছাত্রী। তার নাম পূজা দাস (১৭)। সে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর গ্রামের সুনীল দাসের মেয়ে।
আরও পড়ুন : খুব সযত্ন সহকারে দেশ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় দূর সম্পর্কের আত্মীয় এবং ফেসবুকে নিয়মিত যোগাযোগের সুবাদে দুই বছর প্রেমের পর দালালের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর একাই বাসে করে চলে আসেন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কয়ড়া কালীবাড়ি মন্দিরে। আগেই সেখানে হাজির ছিলেন পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের গুনবহা নতুন ব্রিজ সংলগ্ন স্থানের বাসিন্দা তপন রাজবংশীর ছেলে তন্ময় রাজবংশী (২২)।
এরপর তারা ওই কালীমন্দিরের পুরোহিতের মাধ্যমে ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে বিয়ে করেন। পরে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের বাসিন্দা তন্ময়ের ভগ্নিপতি গোপাল রাজবংশীর বাড়িতে তারা যান। সেখানে অবস্থানকালে রাত ১১টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ তন্ময় ও পূজাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুন : ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার তথ্য গুজব
তন্ময় রাজবংশী বলেন, আমাদের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। গতকাল ভারত থেকে এসে পূজা আমাকে ফোন দিলে আমরা কালীমন্দিরে গিয়ে বিয়ে করি। এরপর ভগ্নিপতির বাড়ি গিয়ে উঠি। সেখান থেকে পুলিশ আমাদের আটক করে।
এ ব্যাপারে পূজা দাস বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে তন্ময়ের সাথে আমার দুই বছরের প্রেম। প্রেমের টানে আমি বাংলাদেশে এসে তন্ময়কে বিয়ে করেছি।
আরও পড়ুন : গ্যাসের দাম বাড়ছে ৮০ শতাংশ
তন্ময়ের বাবা তপন রাজবংশী বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। রাতে আমার ছেলে এবং ওই মেয়েকে থানায় ধরে আনার পর আমি জেনেছি।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার্স ইন চার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব দুপুরে বলেন, মেয়েটি যেহেতু অপ্রাপ্তবয়স্ক তাই তাকে শিশু আদালতে পাঠানো হবে। আদালত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। ছেলেটিকেও আদালতে পাঠানো হবে।
সান নিউজ/এইচএন