নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদপুর: গত ১২ ঘন্টায় ফরিদপুরের গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি আরও বেড়ে বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় জেলা সদর থেকে চরভ্রদাসন ও সদরপুর উপজেলার যাওয়ার সড়কটির কয়েকটি স্থান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ওই সড়কের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখেও রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ভারি যানচলাচল।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ফরিদপুর সদর থেকে চরভদ্রাসন-সদরপুর যাওয়ার আঞ্চলিক সড়কটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সড়কটি চলাচলের উপযুক্ত করতে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র ও সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু হয়েছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, বর্তমানে পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৯.৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপরে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করছে। তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে মধুমতি নদীর আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার জানান, এ উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সরকারিভাবে ২৯ মেট্রিকটন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ হাসান বলেন, মধুমতি নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহায়তায় ভাঙন রোধে জরুরিভাবে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম নকিবুল বারী বলেন, ‘বন্যার পানি সড়কের চারপাশে থাকায় বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা সড়কটিকে রক্ষার চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে ভারি যানচলাচল করা যাবে না।’
সান নিউজ/ এআর