নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদপুর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার দুই ছেলে এবং নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেত্রী দেলোয়ারা বেগম।
দেলোয়ারা বেগমের স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু শহিদ মিয়া ছিলেন তালমা ইউপির দীর্ঘদিনের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান হওয়া দেলোয়ারার দুই ছেলে হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, যমুনা গ্রুপের পরিচালক অ্যাড. মো. জামাল হোসেন মিয়া এবং ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে এই মা অভিযোগ করেন, বিএনপি ও জামায়াত থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে নিয়ে দলেরই একটি অংশ হামলা-মামলা ও হয়রানি করে আসছেন। দুই উপজেলায় দলের নেতৃত্ব দেওয়া দুই ছেলের সঙ্গে থাকা দুর্দিনের পরীক্ষিত আওয়ামী লীগের কর্মীদেরও বাড়ি-ঘর ছাড়া করে রাখা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় ফরিদপুর শহরের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের এই সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ারা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তার ছেলে অ্যাড. মো. জামাল হোসেন মিয়া। অন্য ছেলে কামাল হোসেন মিয়া ছাড়াও তালমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজ খলিফা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ শেখ, সাব্বির সরদারসহ দুই উপজেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে দেলোয়ারা বেগম বলেন, ‘নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় ত্যাগী ও পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে আমরা কাজ করে চলেছি সব সময়। এজন্য দলের দুর্দিনে বিভিন্ন ধরনের হামলা ও মামলার শিকার হয়েছি। আমার প্রয়াত স্বামীর সেই রাজনীতির ধারায় আমার দুই ছেলে জামাল হোসেন ও কামাল হোসেন নগরকান্দা ও সালথায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সব সময়। তাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত শাহদাব আকবর লাবুর নেতৃত্বে দলের একটি অংশ বিএনপি ও জামায়াত থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমার দুই ছেলের সঙ্গে থাকা ছেলের সঙ্গে থাকা দুর্দিনের পরীক্ষিত আওয়ামী লীগের কর্মীদেরও বাড়ি-ঘর ছাড়া করে রাখা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন জীবনের নিরাপত্তা দিয়ে বাঁচানোর মালিক একমাত্র আপনি।’ লিখিত বক্তব্যে একইসঙ্গে এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারেরও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অ্যাড. মো. জামাল হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছি, প্রত্যেকটি নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করি। এটাই আমাদের অপরাধ। আমাদের আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে চলেছেন অনুপ্রবেশকারীরা।’
সান নিউজ/ এআর