ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অবস্থান নিয়ে অনশন করছে। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে অনশন শুরু করে ওই প্রেমিকা। এ খবর পেয়ে উধাও প্রেমিক।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারছি
জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পোড়াহাতা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আলম মিয়া (২৪) গাজিপুর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। সেখান থেকে প্রায় দুইমাস পূর্বে ঢাকা উত্তরায় অবস্থিত ১০শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর সাথে ফেসবুক পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারপর গত বৃহস্পতিবার আলম মিয়া ওই স্কুল ছাত্রীকে বিবাহ করবে বলে আশ্বাস দিয়ে বাসা থেকে বের হতে বলে। আলমের এমন আশ্বাসে মেয়েটি পরিবারকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক না জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। বের হওয়ার পর আলম মেয়েটিকে ফোন করে বলে আজ তার সাথে দেখা হবে না। যদি পারো তোমার কোন এক বন্ধুর বাসাতে চলে যাও।
এঅবস্থায় মেয়েটি আলমের কথা মতো ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় তার এক বন্ধুর বাসায় যায়। যাওয়ার সাথে সাথে আলম পুনরায় ফোন করে গাজিপুর টঙ্গী এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় মেয়েটিকে আসতে বলে। আলমের কথায় মেয়েটি তার বন্ধুর বাসায় অবস্থান না করে সাথে সাথে সেখান থেকে টঙ্গী চলে আসে। সেখানে যাওয়ার পর আলম তাকে আগামীকাল বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এ অবস্থায় পরের দিন মেয়েটি আলমকে বিয়ের কথা বললে আলম সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়। তখন মেয়েটি উত্তরায় তার বাবার বাসায় গেলে তার বাবা তাকে মারধর করে বের করে দেয়।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন সাবেক ইসি মাহবুব তালুকদার
পরে উপায় না পেয়ে মেয়েটি তার এক মামার সাথে বিষয়টি শেয়ার করে। তখন মেয়েটির মামা ওই প্রতারক আলমকে অনেক খুঁজাখুঁজি করে তার ঠিকানা বের করে মেয়েটিকে দেয়। পরেরদিন মেয়েটি তার মামার দেওয়া ঠিকানা মতে গাজিপুর আলমের ভাড়া বাসায় গিয়ে অবস্থান করে। মেয়েটি তার বাসায় অবস্থান করছে এমন খবর আলমের গ্রামের বাড়িতে আসার পর আলমের বাবা মেয়েটিকে তার ছেলে আলমের কাছে বিয়ে দিবে বলে নিয়ে আসতে বলে। পরে মেয়েটিকে তার বোন এবং মামা ও প্রেমিক আলম মিলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ এলাকায় আলমের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নেয়।
সেখানে দুই পরিবার ও স্থানীয়দের নিয়ে এক শালিশ দরবার বসে। সেই সালিশ দরবারে আলমের সাথে মেয়েটির বিবাহ হবে না এমন সিদ্ধান্ত হলে মেয়েটি সালিশ দরবার থেকে বের হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত নিজ বাড়িতে চলে আসে। এঅবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মেয়েটি বিয়ের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পোড়াহাতা গ্রামে অবস্থিত আলমের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় ভারতে বরখাস্ত ৩
মেয়েটি বলেন, আলম আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আলম আমাকে বিয়ে না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই বাড়িতেই অবস্থান করবো।
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কারো পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমআর