ফয়সল চৌধুরী, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহনির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতার তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরিফ উদ্দিনের নিকট বুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে ২৩ আগস্ট গৌরাঙ্গ সরকার, লালচান সরকার ও পংকজ নামে তিন ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ড্যান্ডি নেশার ছোবলে পথশিশু
অভিযোগ থেকে জানা যায়, চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ বুল্লা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহনির্মাণের ১০ হাজার টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে ক্ষতি না হওয়া ব্যক্তিদের দেন। আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে তিনি এ ধরনের অনিয়ম করেন বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়। বুল্লা ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ৪৫ টি পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে ত্রাণ বিতরণ করার কথা থাকলেও ৮ নং ওয়ার্ডে প্রায় ২৭ টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ৮ নং ওয়ার্ডে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ অর্থের বিনিময়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের বাদ দিয়ে বন্যায় ক্ষতি হয়নি এমন লোকদের নাম দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা তৈরি করেন।
এদের মধ্যে বুল্লা বাজারের ব্যবসায়ী, পাকা ঘর ওয়ালা ও সচ্ছল ব্যক্তি রয়েছেন যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নন। ২৭ টি নাম চেয়ারম্যান তার নিজের পছন্দের লোকজনকে দেন। খোকন চন্দ্র গোপের কাকাত ভাই অসিত চন্দ্র গোপ, কাকী শিউলি চন্দ্র গোপ সহ অনেক আত্মীয়ের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। অথচ তাদের কেউই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেল লিটারে বাড়ল ৭ টাকা
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান খোকন গোপের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুধু তালিকা প্রণয়ন করা হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে এ তালিকা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে অর্থ প্রদান করা হয়। চেক না থাকার কারণে বুল্লা ইউনিয়নে কয়েকটি নামের বিপরীতে অর্থ বিতরণ করা হয়নি। দুই এক দিনের ভেতরে বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে লেখায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরিফ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বুল্লা ইউনিয়নে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে পনেরটি নাম স্থগিত করা হয়েছে। সরেজীবনে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজন বোধে নাম পরিবর্তন করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অর্থ বিতরণ করা হবে।
সান নিউজ ডেস্ক