সান নিউজ ডেস্ক: বরগুনার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে লাঠিপেটার ঘটনায় গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটি। রোববার (২১ আগস্ট) বিকালে ওই রিপোর্ট দাখিল হয়েছে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আকতারুজ্জামানের কাছে।
আরও পড়ুন: রিজভীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননা
তবে ডিআইজি আকতারুজ্জামান এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি। তবে রেঞ্জ পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, তদন্ত রিপোর্টে ঘটনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ মোট ১৩ জনকে দায়ী করা হয়েছে। বরগুনা-১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর প্রতি পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও তার সামনেই ছাত্রলীগের ওপর লাঠিপেটার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ওই ১৩ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত শোক সভার অনুষ্ঠান চলছিল। জেলা ছাত্রলীগের নবাগত কমিটির একাংশ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার পথে শিল্পকলা একাডেমির তৃতীয় তলা থেকে কে বা কারা ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে পুলিশের গাড়ির একটি গ্লাস ফেটে যায়। মুহূর্তের মধ্যে দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে পেটাতে থাকে। ছোট ছোট ছেলেদের মাথা ও হাত-পা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহত
সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু তখন শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে বসা ছিলেন। তাৎক্ষণিক তিনি বের হয়ে মহরম আলীকে ছাত্রলীগ নেতাদের পেটাতে নিষেধ করেন। এমনকি তিনি মহরমের হাত ধরে বলেন, যে ছেলেটি ইট ছুড়েছে তাকে আমি আপনাদের কাছে সোপর্দ করব। এতে মহরম আরও ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে সংসদ সদস্যের সঙ্গে বাম হাত তুলে অশোভন আচরণ করেন। ছাত্রলীগ নেতা জসিম মোল্লা ও স্বাধীন প্রতিবাদ করলে এমপির সামনেই তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ধরে নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের এহেন কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগে নিন্দার ঝড় ওঠে। দলীয় নেতাকর্মীরা শহরে মিছিল করতে চাইলেও এমপি মিছিল-মিটিং করতে দেননি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার আলোচিত এএসপি মহরম আলীকে প্রত্যাহার করে বরিশাল ডিআইজির কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সান নিউজ/কেএমএল