ঝালকাঠি প্রতিনিধি : নলছিটির ধর্ষণ মামলার ভিকটিম তরুনীর বিরুদ্ধে এবার পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা (নং-০৬ তাং-১৯/৮/২২) দায়ের করেছে তারই দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান বাচ্চু।
আরও পড়ুন : জনগণের কল্যাণে কাজ করুন
রোববার (২১ আগষ্ট) ধর্ষণ মামলার ভিকটিমের বিরুদ্ধে আসামীর মামলা দায়েরের বিষয়টি জানাজানি হলে ঝালকাঠি-নলছিটিবাসীসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
নলছিটি থানার এসআই মফিজ উদ্দিনকে দ:বি: ২০১২ সনের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১) ৮(২) ৮(৩) ৮(৫)/(ক) ধারায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজ উদ্দিন জানান, বাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান বাচ্চু তার মামলার অভিযোগে ‘তার ছবি এডিটিংয়ের মাধ্যমে অশ্লীল আকৃতি বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করার’ দাবী করেছে।
মামলায় লামিয়া আক্তারকে নামধারী সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪/৫জনকে আসামী করা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : গ্যাস সংকটে ভুগছে শিল্প কারখানা
এদিকে ধর্ষণ মামলার ভিকটিম অসহায় লামিয়া আক্তারের মা রানী বেগম জানায়, তার মেয়ে লামিয়াকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে বাচ্চু চেয়ারম্যান ধর্ষণ করার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে পরিবারের সবাই নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
চেয়ারম্যান বিভিন্ন লোক দিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়ায় লামিয়ার বাবা কৃষক আইউব আলী হাং, চাচাসহ পরিবারের সবাই আতংকে দিন কাটাচ্ছে। বাচ্চু চেয়ারম্যান বহু মেয়ের ইজ্জত নিয়েছে তাতে তার কিছু না হওয়ায় সে আমার মেয়ের ইজ্জত নিয়েও ভেবেছে কিছুই হবেনা।
আরও পড়ুন : সঙ্কট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে
প্রসঙ্গত, কুলকাঠির সরই গ্রামের লামিয়া আক্তার কে ঢাকায় ভালো চাকুরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নলছিটি উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম আক্তারুজ্জামান বাচ্চু গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ইং ঢাকা দঃবনশ্রী ৯/২ নাম্বার রোডের ব্লক-ই, বাসা নং-১২৩ (পারোয়ারী বাড়ী) নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থানরত মোর্সেদা বেগম নামে এক নারীর সহায়তায় চেয়ারম্যান বাচ্চু তরুনীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারন করে রাখে।
এরপর গত ৬ জানুয়ারী ২০২২ইং তারিখ ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একই বাসায় নিয়ে পুনরায় সারারাত ধর্ষণ করে। এতে নির্যাতিতা তরুনী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পরলে বিষয়টি চেয়ারম্যান বাচ্চু কে জানানোর পর সে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গর্ভপাত করায়।
আরও পড়ুন : বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১০ফেব্রুয়ারি ঢাকা খিলগাঁও থানায় চেয়ারম্যান এইচ এম আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ও তার সহযোগী মোর্শেদা বেগমের (৩৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-২২/১১২) দায়ের করেন।
সান নিউজ/এইচএন