এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি : রাজাকার বা তাদের সন্তানকে সদস্য না করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত রাজাকার পুত্র ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম লালু মৃধাকে আ’লীগে যোগদান করিয়ে আ’লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : জনগণের কল্যাণে কাজ করুন
শুক্তাগড়ের সাবেক চেয়ারম্যান তালিকাভুক্ত রাজাকার মোঃ হানিফ মৃধার পুত্র লালু মেম্বার আ’লীগে যোগদানের ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়া ইউনিয়ন আ’লীগ নেতাকর্মী, দলীয় ইউপি সদস্যবৃন্দ ও সাধারন মানুষের মধ্যেও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় রাজাকার পুত্রকে’ আ’লীগে অনুপ্রবেশের সুযোগ না দেয়ার জন্য জেলা আ’লীগ সভাপতি-সাধারন সম্পাদক বরাবরে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছে।
অভিযোগের অনুলিপি ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুন, গোয়েন্দা সংস্থা ও জেলা উপজেলার সাংবাদিকদের প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : অফিস সকাল ৮টা থেকে ৩টা
লিখিত অভিযোগ ও দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মেজর অব: ব্যারি: শাহজাহান ওমরের বাড়ীর এলাকা শুক্তাগড় ইউনিয়নে দীর্গ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দুর্দিনের আ’লীগ শক্তিশালী অবস্থানে এসেছে।
গত (৩১ জুলাই) রবিবার শুক্তাগড় আ’লীগের সদস্য সংগ্রহ উপলক্ষে কেওতা গিগরা ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে এক সভায় রাজাকার পুত্র লালু মেম্বার আ’লীগে যোগদান করেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক মৃধা জানায়, ইতিপূর্বে ২০১৬ সালে লালু মেম্বার আ’লীগে যোগ দিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান পদ লাভ করে। এর ১বছর পর পুনরায় ডিগবাজী দিয়ে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সাধারন সম্পাদক হয়েছে। এখন পিতার নাম রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় সে পিঠ বাঁচাতে আ’লীগে যোগদানের নাটক করছে।
আরও পড়ুন : সঙ্কট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে
এ বিষয়ে শুক্তাগড় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান, মহিলা ইউপি সদস্য এড. লাভলী বেগম, ইউপি সদস্য আসাদুল, ইউপি সদস্য নুরালম মল্লিক ও সাবেক ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি আ’লীগ সহ সভাপতি আঃ রব হাওলাদার জানায়, লালু মেম্বার বিএনপি নেতা ও তার পিতা তালিকাভ‚ক্ত রাজাকার যা ইউনিয়নের সবাই জানে। সে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় দ্বিতীয় দফায় আ’লীগে যোগদান করলেও স্বার্থসিদ্ধ হলে বা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই কেটে পরবে এটা নিশ্চিত বলে তারা দাবী করেন।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সরদার মোঃ শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। যেহেতু ঘটনাটি রাজাপুরের তাই স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন