মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সংখ্যালঘু পরিবারের একটি আম বাগানের শতাধিক গাছ কেটে নষ্ট করে দেয়ায় অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে পাচার রোধে তেলের দাম বৃদ্ধি
এ বিষয়ে স্থানীয় এমপিসহ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করায় সংখ্যালঘু পরিবারটির উপর প্রান-নাশের হুমকি ও বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়াসহ মুঠোফোনে এলাকা ছাড়ার হুমকি আসছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (৭আগস্ট) কাকলী রানী ও বীরেন্দ্র রায়ের ক্রয়কৃত উপজেলার ১নং জয়পুর ইউনিয়নের আলদাতপুর মৌজার ১২৭৭নং দাগের ৫১শতক জমির উপর লাগানো শতাধিক আম গাছের একটি বাগানের সমস্ত গাছ কর্তন করে প্রতিপক্ষ ফয়জার রহমান গং। শুধু গাছ কেটেই ক্ষান্ত হননি বরং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়াসহ জীবন নাশের হুমকিও দেয়ারও অভিযোগ করছেন সংখ্যালঘু ওই পরিবারটি।
এ ব্যাপারে সংখ্যালঘু ওই পরিবারটি স্থানীয় এমপির শরনাপন্ন হয়ে আফতাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলছেনা বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন থেকে গম রফতানি শুরু
ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যালঘু পরিবারটির দাবি প্রভাবশালী ওই মহলটি তাদেরকে অনেকবার আক্রমণ করে শারিরিকভাবে জখম করেছে এবং প্রায়ই তাদের কষ্টের বাগানের আম-গাছ কেটে ফেলে হুমকি দিয়ে আসছে। এবার প্রায় তাঁদের প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে।
এ ব্যাপারে সংখ্যালঘু ওই পরিবারটি বারবার আইনি সহযোগিতা চেয়েও না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমরা সংখ্যালঘু এটিই হয়তো আমাদের অপরাধ।
জানা গেছে, ২০১১ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার ১নং জয়পুর ইউনিয়নের আলদাতপুর মৌজার ১২৭৭ দাগের ৫১শতাংশ জমি একই উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের ছেনার আলীর ছেলে আবু সাঈদ সেকেন্দার ও ওয়াহেদ আলীর কাছে ক্রয় করেন জয়পুর ইউনিয়নের দীপক চন্দ্র রায়ের স্ত্রী কাকলী রানী ও তাঁর বাবা মৃতঃ বীরেন্দ্র রায়।
আরও পড়ুন : চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
পরবর্তীতে ২০১৫সালে ক্রয়কৃত ওই সম্পত্তিটি পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার চটকু শেখের ছেলে ফয়জার রহমান মালিকানা দাবী করেন। স্থানীয়ভাবে কাগজপত্র তদন্তে মালিকানা প্রতিষ্ঠিত না হলে ফয়জার রহমান ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে মালিকানার দাবী প্রতিষ্ঠার মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা চলমান থাকলেও মামলায় হেরে যাবার ভয়ে শনিবার (৭আগষ্ট) রাতে ফয়জার রহমান তাঁর দুই ছেলেসহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাতের আধারে সংখ্যালঘু পরিবারটির অনেক কষ্টে গড়ে তোলা বাগানের শতাধিক গাছ কর্তন করে।
আরও পড়ুন : সেই চিকিৎসক হত্যার নৈপথ্যে পরকীয়া
এদিকে নবাবগঞ্জে ধারাবাহিক ভাবে সংখ্যালঘু পরিবারের জমিজমা দখলের চেষ্ঠার কারনে ওই এলাকায় সংখ্যালঘুসহ ক্ষুদ্য-নৃগোষ্ঠী পরিবারগুলোর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
এ বিষয়ে বীরেন্দ্র রায়ের ছেলে বিদ্যুৎ চন্দ্র সরকার আফতাগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনও কোন ব্যবস্থা নেননি বলেই জানান ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত ফয়জার রহমানের ছেলে সুবেল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলবেননা বলে জানান।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে । তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন