মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে পাওয়া টাকা না পেয়ে ব্রেন স্ট্রোক করে দবিরুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু অতপর মাদ্রাসার সাবেক সভাপতির বাড়িতে মরদেহ রাখার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের প্রধান পাড়া এলাকার মোঃ জুলফিকার আলী (৩৪) প্রধান পাড়া দারুনফালা দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতির বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। মাদ্রাসার সভাপতি ওই এলাকার মৃত আব্দুর সাত্তার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধান পাড়া দারুনফালা দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ম্যানেজিং কমিটি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মোঃ জুলফিকার আলী শূন্য পদ জনবল নিয়োগের নিমিত্ত বিজ্ঞপ্তিতে লাইব্রেরিয়ান (গ্রন্থাগারিক) পদে তার স্ত্রীর মামাতো ভাই জাকির হোসেন কামিল (এম,এ) পাশ শূন্য পদে চাকুরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ১১ লক্ষ এবং গ্রন্থাগারিক জাল সনদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এদিকে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে আয়া এবং নৈশ্য প্রহরী পদে নিয়োগ দিয়ে ১১ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন। গ্রন্থাগারিক এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিলতার সৃষ্টি এবং সভাপতি পদ মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে অভিযুক্ত জুলফিকার আলী পাওনা টাকা ফেরত দিতে অনীহা প্রকাশ করে। এনিয়ে এলাকায় দেন দরবার হলে তিনি কখনো উপস্থিৎ থাকতেন না।
রোববার (৭ আগষ্ট ) সকাল ১০ টার সময় মৃত দবিরুল ও স্ত্রী সহ তার ভাগনী জামাই দারুনফালা দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতির বাড়ি যান পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এদিকে জুলফিকার আলী বাসায় তাদেরকে অশালীন ভাবে গালিগালাজ এবং বটি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে এক পর্যায় বাড়ি থেকে বের হন দবিরুল ইসলাম অপমান অপদস্ত মেনে নিতে না পারায় হঠাৎ করে তিনি মাটিতে পড়ে যান পরবর্তীত্বে তার স্ত্রী সহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ আগষ্ট বৃহষ্পতিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন নয়, যুদ্ধ ন্যাটোর বিরুদ্ধে
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পঞ্চগড়ে তার বাসায় না এনে আত্মীয় স্বজনরা সভাপতির বাড়ি রেখে আসেন মৃত দবিরুল ইসলামের মরদেহ। পাওনা টাকা না দেওয়া পর্যন্ত মৃতের দেহ দাফন সম্পূর্ণ করবেন না বলেন তার পরিবার। মৃতের সহধর্মীনি তিনি বলেন আমার স্বামী ছেলে চাকুরির জন্য জমি বিক্রি করে তাকে টাকা দেওয়া হয়েছিল টাকা চাওয়ার কারণে ব্রেন স্ট্রোকে তিনি মারা গেলেন আমি তার পাওয়া ফেরত এবং আইনগত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বলেন ঘটনা স্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এইচএন