নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: করোনা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে ডেপুটি সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধিকে সদস্য রাখা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, খুমেক হাসপাতালের লিফটম্যান নওশাদ টাকার বিনিময়ে নগরীর বিকে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে নমুনা আইডি কেএমসি-২০০২৩ ও পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নমুনা আইডি কেএমসি-১৯০৩১ তে করেনা নেগেটিভ সনদ দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তারা দু’জনই করোনা পজেটিভ। অথচ কেএমসি-১৯০৩১ ও কেএমসি-২০০২৩ নমুনা আইডি নম্বর দুটিই ভুয়া। একই সঙ্গে সরকারি প্রণোদনার সুবিধা নিতে একজনের নমুনার রিপোর্ট অন্যজনের নামে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী বলেন, সনদ জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের সবাই নিম্ন শ্রেণির কর্মচারী।
সান নিউজ/ এআর