নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের কান্দাপাড়ায় গ্রাম সংলগ্ন তালতলা গৌরগঞ্জ খালে আনলোড ড্রেজার বসিয়েছেন ইউপি সদস্য নুরুন্নবী। এরপর বালিগাঁও কুন্ডেরবাজার সড়কে উপর দিয়ে পাইপ টেনে ঐ ড্রেজার থেকে বালু সরবরাহ করছেন তিনি। বেতকা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ওই সদস্য এভাবেই ব্যস্ততম সড়কের উপর ড্রেজারের পাইপ টেনে বালু বানিজ্য চালিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন : বাড়িতে বাজার নেই, কখন আসবে বাবা!
তাছাড়া পাইপ লাইন টানায় সড়কে যাতায়াতে বিপাকে পড়েছেন, ঐ পথে চলাচলকারী জনসাধারণ। এছাড়াও তালতলা গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু আনা-নেয়ায় বাল্কহেডের ঢেউয়ে খালের দুইপাশে ভেঙে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেতকা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকার খালের মধ্যে বসানো আছে আনলোড ড্রেজার মেহেদী হাসান। খাল দিয়ে বাল্কহেডে ভরে মাটি আনার পর ঐ ডেজার্টটি দিয়ে খাল হতে আনলোড করে কান্দাপাড়সহ ওই এলাকার আশে-পাশে পাইপ দিয়ে নেওয়া হচ্ছে বালু।
আরও পড়ুন : পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া
ড্রেজার শ্রমিক শামিম বলেন , স্থানীয় বেতকা ইউনিয়ন মেম্বার নূরন্নবী দীর্ঘ এক মাস যাবত ওই স্থানে ড্রেজার বসিয়ে মাটি আনলোড করছেন।
এদিকে, উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের চাষিরী বালিগাঁও থেকে বেতকা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের উপর দিয়ে ১৫ টি ড্রেজারের পাইপলাইন টানা হয়েছে।পাইপলাইনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। এ পথে চলতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালক, যাত্রী ও পথচারীদের।
আরও পড়ুন : পারমাণবিক কেন্দ্রে আক্রমণ ‘আত্মঘাতী কাজ’
অভিযোগ উঠেছে- স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এসব পাইপ লাইন টেনেছে বালু ব্যবসা করছে।
উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের ইসলামপুর থেকে চাষিরী বালিগাঁও গ্রাম পর্যন্ত মাত্র আধা কিলোমিটার জায়গায় পাঁচটি ডেজার পাইপলাইন। এ সড়ক ধরে সামনে এগোতেই আউটশাহী ইউনিয়নের তস্তিপুর থেকে বেতকা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকা পর্যন্ত সড়কে আরও দশটি ড্রেজার পাইপলাইন দেখা যায়।
আরও পড়ুন : কোথায় কখন লোডশেডিং
এসব লাইনের পাইপ রাস্তার উপর বসানো হয়েছে। পাইপগুলোর উপর দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। ইট-বালু দিয়ে এক থেকে দেড় ফুট উঁচু করে সড়ক দীপের মত বানানো হয়েছে। লাইনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নূরন্নবী মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ড্রেজারটি তার স্বীকার করে বলেন ডিসি অফিসের অনুমতি নিয়েই রাস্তার উপর দিয়ে পাইপ বসিয়েছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনও জানেন। তবে অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা পাঠিয়ে দেবেন বলে আর পাঠান নি।
আরও পড়ুন : গাজায় হামলায় নিহত বেড়ে ৪৩
বেতকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিগ্যান শিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনুমতিপত্র থাকতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি জানি না।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিম অন্তরা বলেন, রাস্তার উপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ লাইন টানার কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে যদি এ ধরনের অনুমতি দেওয়া হতো তাহলে তার অনুলিপি আমি পেতাম। আমার মনে হয় না, ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়।
সান নিউজ/এমআর