ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের হুমকিতে এক চিকিৎসক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এতে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসক সুষ্ঠু বিচার চেয়ে রবিবার (৭ আগস্ট) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: সংগ্রামের সারথি ছিলেন আমার মা
অভিযোগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদীতে অবস্থিত কাদিরদী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরে সীমানা বিরোধ চলছিল। ওই সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত ৪ আগস্ট সেখানকার জমি পরিমাপ করা হয়। জমি পরিমাপ করছিলেন এসিল্যান্ড অফিসের জনৈক সার্ভেয়ার। সীমানা নির্ধারণের জন্য জমি পরিমাপ করাকালীন উপস্থিত ওই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ নুরুল ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত হন কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
ওই দুই শিক্ষক চিকিৎসক নূরুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি ধামকি দেন। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও ২০/২৫ জন শিক্ষক চিকিৎসক মো. নূরুল ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করেন। এ সময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন স্কুল চলাকালীন সময়ে নিজ বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে জমি পরিমাপের স্থানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
অভিযোগে আরো জানা যায়, কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এর আগে কাদিরদী উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দখলীয় সম্পত্তিতে থাকা ১৮/২০ বছরের ৮টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি মূল্য সমন্বয় করা হবে
হুমকির ঘটনা ও নিরাপত্তার জন্য উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম রবিবার (৭ আগস্ট) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।এ ব্যাপারে কাদিরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, চিকিৎসকের সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি। অন্য স্কুলের শিক্ষকদের ঘটনা স্থলে উপস্থিত থাকা প্রসংঙ্গে বলেন, আমাদের এখানে একটি মিটিং ছিল সে কারনেই তারা এসেছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানই সরকারি সীমানা নির্ধারণের জন্য সরকারি সার্ভেয়ার উপস্থিত ছিল। সেখানে ওই স্কুলের উল্লেখিত দুই শিক্ষকের সঙ্গে বহিরাগত কিছু স্কুল শিক্ষক আমার সহকর্মীর সাথে খুবই রুঢ় আচারণ করেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে। যেহেতু উভয়ে সরকারি চাকরীজিবী খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এসআই