মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: প্রায় ৭ বছর যাবত বাঁশের রেলিং দিয়েই সেতুতে যাতায়াত করছে স্থানীয়রা। এতে যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে খালের উপর প্রায় ২০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় একটি সেতু।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলার মারিয়ালয় গ্রাম হতে ধামারণ গ্রামের রহিমগঞ্জ বাজার সংযোগ সড়কের উপর নির্মিত এই সেতুটি দিয়ে পাশের আলদি, শিমুলিয়া, চাপ, লাখারং, কাঁঠাদিয়া, ধীপুর, বাড়েইপাড়া গ্রামসহ তার আশেপাশের হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে থাকে।
তাছাড়া, এই সেতুর পূর্ব পান্তে রয়েছে দক্ষিণ শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এ সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে খালের উপর নির্মাণ করা হয় সেতুটি। ৭ বছর হয় এই সেতুর উত্তর পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে আছে। দক্ষিণ পাশের রেলিংটিও স্থানে স্থানে ভেঙে পড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর নির্মিত সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অনেক যানবাহন যাতায়াত করে । তাছাড়া সেতুর উপর দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াতা করায় তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রতিবছরই সেতুর রেলিংয়ে বাঁশ বেধে দেওয়া হয়। তারপরেও যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের উপর নির্মিত সেতুটির উত্তর পাশের লম্বা রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু খাড়াভাবে কিছু রড দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওই রডের মধ্যে বাঁশ বেধে রেলিং হিসাবে ব্যবহার করছে স্থাণীয়রা। দক্ষিণ পাশের রেলিং স্থানে স্থানে খসে পড়ে রড বের হয়ে আছে।
স্থাণীয় রিপন মল্লিক বলেন, ২০ বছর হবে সেতুটা নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর আর সংস্কার করেনি। প্রায় ৭ বছর হবে রেলিং ভেঙে রয়েছে। কিন্তু সেতুটি ঠিক করা হচ্ছে না।
খোকন হালদার বলেন, সেতুটির পূর্ব পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । প্রতিদিন এই এলাকার শিশুরা এই সেতু দিয়ে স্কুলে যাওয়া আশা করে। শিশুরা যাতে সেতু হতে পানিতে পড়ে না যায়, তার জন্য গ্রামবাসী বাঁশ দিয়ে সেতুতে রেলিং বানায়। তারপরেও ঘটতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা।
নাজমুল ফকির বলেন, সেতু হওয়ার পরে আর কেউ খোঁজ নিয়ে দেখেনি ঠিক আছে কিনা। এ সেতু দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়ত করে। বিশেষ করে কাঁঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও পাশের রহিমগঞ্জ বাজারে আসা-যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। এছাড়া স্কুলের শিশুরাও এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। অতি তাড়াতাড়ি ঠিক হওয়া দরকার সেতুটির।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলা প্রকৌশলী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাঁশের রেলিং দেয়া সেতুটির বিষয় খোঁজ খবর নেয়া হবে। আমরা ২২/২৩ অর্থবছরের জন্য উপজেলার ১৪/১৫টি সেতু সংস্কারের জন্য খসড়া করেছি। এতে কাঁঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের দুইটি সেতু সংস্কারের জন্য রাখা হবে।
সান নিউজ/এনকে