খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল : কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসে উঠে যাত্রীদের হাত-পা-চোখ বেঁধে মারধর, সম্পদ লুট ও এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় রাজা মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন : সামিয়া রহমানের পদাবনতি অবৈধ
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলেনে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন,ভোরে শহরের নতুন বাস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ডাকাতির মূল হোতা রাজা মিয়া কে গ্রেফতার করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এই সময় তিনি বলেন, ঈগল পরিবহনের যে বাসটি ডাকাতের কবলে পড়ে, সেই বাসের চালককে সরিয়ে দিয়ে রাজা চালকের সিট দখল করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় কে কে জড়িত ছিলো তা আমাদের জানিয়েছে।
জানা যায় ,রাজা মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামে। তার বাবার নাম হারুন অর রশিদ। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে চলাচলকারী ঝটিকা পরিবহনের বাসের চালক তিনি।
আরও পড়ুন : ঢাকায় আসছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়ার বড়াইগ্রাম থেকে ঈগল পরিবহণের বাসটি ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে মঙ্গলবার ছেড়ে আসার পথে রাতে বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে নৈশভোজের জন্য যাত্রা বিরতি দেয়। পরে দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহনকরা ১০-১২ জন তরুণ যাত্রী উঠেন। তখন সবাই প্রায় ঘুমে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই তরুণ দল অস্ত্রের মুখে একে একে ঘুমন্ত যাত্রীদের সবাইকে বেঁধে ফেলে। প্রত্যেক যাত্রীর চোখ ও মুখ বেঁধে চালককেও জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন : নূর হোসেনের যাবজ্জীবন
পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, টাকা, গহনা লুট করে নেয়। তারপর এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে বাস বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে ও তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে। শেষে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ডিবিতে ঠেকিয়ে ডাকাত দল নেমে যায়।
সান নিউজ/এইচএন