ফয়সল চৌধুরী, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল্লা চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ২৫ বছর পর প্রদান করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র থাকলে দেশের উন্নতি হয়
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ এস এম নাসিম রেজা এ আদেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল্লা চৌধুরী ১৯৯৭ সালের ১লা জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হলে আর ফিরে আসেননি। পরদিন রাতে তার বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ৩ জানুয়ারি সকালে পার্শ্ববর্তী দত্তগ্রামের খোয়াই নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বাড়ছে জরুরি অবস্থা
পরে ৫ জানুয়ারি নিহত এডভোকোট আব্দুল্লা চৌধুরীর স্ত্রী সাহিদা চৌধুরী কারও নাম উল্লেখ না করে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার ছিদ্দিকুর রহমান ও এস আই বাবুল চন্দ্র বণিক ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন সাবেক চেয়ারম্যান এনাম খান চৌধুরী ফরিদ, আখলাছ মিয়া, ফজলুর রহমান, ফজলু মিয়সহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে ১৪ জন আসামি বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ (সোমবার) এই রায় প্রদান করে। এ সময় ১৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) এডঃ সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৩ সালে সর্বশেষ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু উভয়পক্ষ উচ্চ আদালতে বিভিন্ন পিটিশনের কারণে মামলার রায় হতে বিলম্ব হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ৭.৫৬ শতাংশ
তিনি আরও জানান, বাদীপক্ষের সাথে আলাপ করে উচ্চ আাদালতে আপিল করবেন।
মামলার আসামি সাবেক চেয়ারম্যান এনাম খান চৌধুরী ফরিদ বলেন, মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছি। সত্যের জয় হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল