এস.এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: নদীভাঙনে নিঃস্ব শাহিনুর খাতুন নামে এক গৃহবধূকে উদ্দেশ্য করে সাজু মেম্বার বলেন, তোর তো কামাই করার মানুষ আছে, তোর গায়ে গতরে জোর আছে, যা তুই কাম করি খা। সরকারি ঘর তোর জন্য না।
আরও পড়ুন: টাইগারদের দাপুটে জয়
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার পূর্ব কঞ্চিপাড়ায় মায়ের ডেড়া ঘরে আশ্রিত দুই সন্তান জননী শাহিনুর খাতুন। ২০১৬ সালে একই গ্রামের এনামুল হকের সাথে বিয়ে হয় তার। এক সময় সবই ছিলো তাদের। সর্বনাশা ব্রহ্মপুত্র নদীতে বিলীন হয়ে যায় এনামুলের বাড়ি ঘরসহ ফসলি জমি। সব কিছু হারিয়ে তাদের আসতে হয় বালাসীঘাটের দক্ষিণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ থেকে তাদের উচ্ছেদ করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে বাঁধের পাশে মায়ের দেড় শতক জমিতে একটি পরিত্যক্ত ছাপড়া ঘরে ছেলে শাহ সুলতান ও মেয়ে ইশামনিকে নিয়ে ৪ জনের বসবাস। সংসারে বেশ টানাটানি। যেদিন কাজ জোটে সেদিন খাওয়া জোটে। কাজ না পেলে উপোস থাকতে হয় দু এক বেলা।
শাহিনুর বলেন, কতক্ষণ আর ছাপড়া ঘরে বন্দি থাকা যায়। ছোল দুটাক সাথে নিয়ে ওয়াপদা বাঁধে এসে বসে থাকি। ঘরবাড়ি ও জায়গা জমি কিছুই নাই। দুই বেলা খাওয়া জোটে, নিজের একখান ঘর নাই এটাই তার বড় দুঃখ। এই দুঃখ ঘোচাতে শাহিনুর কতোবার সাজু মেম্বার আর চেয়ারম্যান সোহেল রানার কাছে গিয়েছেন, তা বলতে পারেন না তিনি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটা ঘর পেলে তার আশা পূর্ণ হতো।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, শাহিনুর বেগম ঘর পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু কতোজনকে দেওয়া যায়। ঘরতো আসে কম। কিন্তু চাহিদা বেশি। তাই সবার মন রক্ষা করা কঠিন।
সান নিউজ/কেএমএল