টেকনাফ প্রতিনিধি : ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নে কৃষক- কৃষাণীরা জমি থেকে কাঁচা মরিচ সংগ্রহ করছেন বিক্রির জন্য। বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আরও পড়ুন : সহজ ডট কমের জরিমানা স্থগিত
কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় হাসি ফুটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের মরিচ চাষিদের মুখে। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা পর্যন্ত। বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা।
শনিবার ও রবিবার উপজেলার উচাখিলা, রাজিবপুর, তারুন্দিয়া, আঠারবাড়ি ও মাইজবাগ ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষক - কৃষাণীরা খেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলছেন। তাদের বাড়ির আঙিনা এখন কাঁচা ও আধা পাকা মরিচে
উপচে পড়ছে। চলছে মরিচ শুকানোর প্রক্রিয়ার প্রস্তুতিও।
রাজিবপুর ইউনিয়নের উজান চরে গিয়ে দেখা গেছে তফাজ্জল (৪০) নামের কৃষকের মরিচ খেতে ফিরোজা বেগম (৫৫),বিলকিস আক্তার (৩৫),আম্বিয়া বেগম (৬০) নামের তিনজন মহিলা কাঁচা মরিচ তুলছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাঁচা মরিচ এখন ৬ হাজার টাকা মণ দরে খেত থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছে পাইকাররা। তাদের মধ্যে ফিরোজা হলেন কৃষক তফাজ্জলের মা।
আরও পড়ুন : সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে
তিনি আরও বলেন, দৈনিক ৪- ৫ মণ কাঁচা মরিচ তোলা যায়। কৃষক পুত্র ইমন বলেন, শুধু মাত্র আমাদের এলাকাতেই এবার ৫০ ৬০ কাঠা জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ করা হয়েছে। আর পুরো ইউনিয়নে আরও অনেক জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে এবং ফলনও এবার ভালো হয়েছে। এতে আমারা খুব খুশি।
কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজিবপুর, উচাখিলা ও ব্রম্মপুত্র নদের অববাহিকায় কয়েকটি এলাকার বিস্তৃর্ণ জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়েছে। এখন চলছে মরিচ তোলার মৌসুম। এবার মরিচের উৎপাদন ভালো হওয়ার পাশাপশি বাজারে উপযুক্ত দাম পেয়ে চাষিদের ঘরে যেন খুশির বন্যা বইছে। মরিচ তুলছেন পরিবারের নারী শ্রমিকেরাও।
উপজেলার পৌর বাজার পরিদর্শন ও আঠারবাড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাষিদের কাছ থেকে কিছুটা কম দামে মরিচ কিনে অনেকেই বেশি দামে বিক্রি করছেন।
উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কৃষক ফজলুল হক বলেন, ‘চলতি মৌসুমে মাত্র ২ কাঠা জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ করি। এতে খরচ সব মিলিয়ে হয় ৬-৭ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ মরিচ সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার বেশিও বিক্রি হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও এক মাস মরিচ তুলতে পারব। ওই জমি থেকে আরও প্রায় ৪০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রির আশা করছি।’
আরও পড়ুন : আ’লীগের আয় বেশি
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান বলেন, ‘চলতি বছর উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে বিন্দু, হট মাস্টার ও বালিঝুড়ি মরিচের আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজারদরও ভালো থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ’
সান নিউজ/এসআই