শফিক স্বপন, মাদারীপুর: পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও এখনো মোটরসাইকেল উঠিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে টোল প্লাজা দিয়ে পার হচ্ছে।
মাদারীপুরের শিবচরের চারটি জায়গা থেকে এখনও পিকাপ ও ট্রাকে মোটরসাইকেল উঠিয়ে পারাপার করছে একটি দালালচক্র।
দেখা যায়, এখন শিবচরের ৪টি জায়গায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে পাঁচ্চর অংশ, মাদবরচর অংশ, কাঁঠালবাড়ি অংশ ও কুতুবপুর অংশে পিকাপ ও ট্রাকে চালকসহ মোটরসাইকেল উঠিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। অপরদিকে জাজিরার চারটি জায়গায় নাওডোবার গোলচত্বর, জমাদ্দার মোড়, নাওডোবার ন্যাশনাল ব্যাংকের সামনে, ঢোল প্লাজার কাছে পিকাপ ও ট্রাকে করে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ। তবে, তারা প্রতিটি মোটরসাইকেল থেকে ভাড়া হাকাচ্ছেন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। কিন্তু এই টাকা জাজিরার টোল প্লাজার কাউন্টারে দিতে হচ্ছে না। এটা নিচ্ছে স্থানীয় দালাল ও পিকআপ-ট্রাকের ড্রাইভাররা।
পিকআপ-ট্রাকের ড্রাইভারের সঙ্গে ভাড়ার ব্যাপারে কথা হলে তারা বলেন, আমরা আগের থেকে ভাড়া কম নিচ্ছি। এখন ভাড়া নিচ্ছি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। কিন্তু স্থানীয় দালালদের প্রতিটি মোটরসাইকেল বাবদ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে দিতে হয়। তারপর টোল ভাড়া তো আছে, সব দিয়ে আমাদের বেশি থাকে না।
স্থানীয় এক দালালের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আগে আমরা কম লোক এ কাজের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলাম। এখন ভালো ভালো লোক আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। আমাদের প্রতিটি মোটরসাইকেল বাবদ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে দেয়। এই টাকা আমরা সবাই মিলে ভাগ করে নেই।
এক মোটরসাইকেল চালক ইয়ামিন বলেন, কি বলবো ভাই আমাদের দুঃখের কথা শোনার কেউ নেই। সরকার আমাদের জন্য পদ্মা সেতু করলো। কিন্তু আমরা সেতু দিয়ে পার হতে পারছি না। এখন আমাদের পদ্মা সেতু পার হতে হলে প্রতিটি মোটরসাইকেল বাবদ ট্রাক ও পিকআপে দিতে হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। তাও আবার আমাদের মালবাহী পণ্যের মতো পলিথিন দিয়ে পেচিয়ে নিয়ে যায়। ১০ মিনিট পর পর পলিথিন সরিয়ে দেয় তখন আমরা নিঃশ্বাস নেই। আগে আমরা ফেরিতে প্রতিটি মোটরসাইকেল বাবদ ভাড়া দিতাম ৭০ টাকা।
পদ্মা দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখন জাজিরা অংশ থেকে কোনো মোটরসাইকেলের পিকআপ ও ট্রাকের গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে না। আমাদের পুলিশ সব সময় টহল দিচ্ছে। যা এখন ছেড়ে যাচ্ছে, তা শিবচরের ৩-৪টি জায়গা থেকে। শিবচর থানা পুলিশ ও শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশকে এগুলো বন্ধ করতে হবে। কারণ, শিবচরের অংশ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
সান নিউজ/এনকে