হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ): শ্বেত পাথরের ফলকে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ লেখা থাকলেও নির্মিত হয়েছে টিনশেড ঘর। ফলক ও টিনশেড ঘরের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেন টিনশেড ঘর কিভাবে ভবন হয়? এ ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী আর নেই
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে জাইকার অর্থায়নে মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের জন্য ৪ লাখ ৮শ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই বরাদ্দ থেকে গত জুন মাসে পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ে একটি নতুন টিনশেড ঘর নির্মাণ ও বিদ্যালয়ের একটি চালাঘর সংস্কার করে করা হয়। গত বুধবার ওই টিনশেড ঘরের পাশে ফলক লাগানো হয়। ফলকে লেখা রয়েছে ‘মাওহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ’।
এদিকে, স্থানীয় কয়েকজন ফলক ও টিনশেড ঘরের ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর ঘটনাটি ভাইরাল হলে জনমনে শুরু হয় নানা সমালোচনা। স্থানীয়দের কয়েকজন প্রশ্ন রাখেন টিনশেড ঘর কিভাবে ভবন হয়?
আরও পড়ুন: চবিতে যৌন নিপীড়ন, গ্রেফতার ৪
স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুর রহমান আপন সাংবাদিকদের জানান, ভবন বলতে আমরা পাকা-সেমি পাকা ঘরকে বুঝি। টিনশেড ঘর কিভাবে ভবন হয় বিষয়টি বোধগম্য নয়। কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্প নির্মাণ কাজ চেয়ারম্যান সাহেব তদারকি করছেন। ইতিমধ্যে পাঠদানের জন্য একটি নতুন টিনশেড ঘর নির্মাণ, একটি চালাঘর সংস্কার ও কিছু বেঞ্চ-টেবিল তৈরি করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় স্কুলে আরও কিছু উন্নয়ন কাজ করা হবে।
আরও পড়ুন: পূর্ণিমার তৃতীয় বিয়ে!
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল ফারুক সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ভ্যাট কর্তন করে যে টাকা থাকে সেটা দিয়ে স্কুলে পাকা ভবন নির্মাণ সম্ভব নয়। ফলকে ভুল লেখা হয়েছে। বরাদ্দ থেকে স্কুলের জন্য দুটি টিনশেড ঘর নির্মাণ ও আসবাবপত্র বানানো হয়েছে। এছাড়াও বরাদ্দ থেকে স্কুলের ল্যাবরেটরির আসবাবপত্র তৈরি ও উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ মোঃ ওয়াহেদুল হক সাংবাদিকদের জানান, ভবন বলতে দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই কোন স্থাপনাকে বুঝায়। কেবলমাত্র টিনশেড ঘরকে ভবন বলার সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ সাংবাদিকদের জানান, কোন অনিয়ম থাকলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/কেএমএল