গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : পঞ্চাশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে হত্যা করা হয় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা এমসি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে। অর্থ পেতে দুই দফায় ব্যর্থ হলে শিহাবকে শ্বাস রোধ করে হত্যার বস্তায় ভরে নদীর পানিতে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন : আরও ২৬ হাজার ভূমিহীন পাচ্ছে ঘর
এ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ওরফে সুমন (১৫), জিন্নাহ মিয়া (১৬) ও বাদশা মিয়া (১৫) নামের তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাক সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে, জিন্নাহ মিয়া শান্তিরাম কালিয়ারছিড়া গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে ও বাদশা মিয়া শান্তিরাম ফোরকানিয়া এলাকার ফরিদুল ইসলামের ছেলে। কিশোর গ্যাংয়ের এই সদস্যরা একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ সব তথ্য জানান গাইবান্ধার পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার নতুন রাষ্ট্রপতি পাচ্ছে ভারত
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৪ জুলাই রাত ১০টার দিকে বেলকা চৌরাস্তা মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে শাহরিয়ার রহমান শিহাব অপহৃত করে ধুবনি বাজার এলকার একটি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজে নিয়ে ঘুমের ইনজেকশন ও নেশা জাতীয় দ্রব্য জোরপুর্বক সেবন করিয়ে শিহাবকে অচেতন করে জনৈক রেজাউল করিমের ভাড়া করা একটি রুমে তালাবন্ধ করে রাখেন।
এ ঘটনায় পরের দিন শিহাবের বাবা সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরির সূত্র ধরে একই দিন বিকাল ৩টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানা এলাকার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লাল চামার খেয়াঘাট এলাকার তিস্তা নদী থেকে শিহাবের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : তুরস্কের হামলায় ৮ পর্যটক নিহত
এ নিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন নিহতের পিতা আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, এটা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
সান নিউজ/এইচএন