আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে জমির আইল কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর, ভাঙ্চুর, অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন : বিধ্বস্ত বিমানে ছিল প্রশিক্ষণ মর্টার শেল
শনিবার (১৬ জুলাই) সন্ধায় উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের মাঝাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, বোতলাগাড়ী মাঝাপাড়ার (কালীতলা) মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে গোলাম আজম (২৭) তার ভোগ-দখলীয় চাষের জমিতে আইল কেটে আবাদের জন্য প্রস্তুতকালে পার্শবর্তী বোতলাগাড়ী হুগলীপাড়ার মো. কান্দু মামুদের ছেলে মো. সাদ্দাম (২৫) জমিতে এসে অহেতুক ঝগড়া শুরু করে।
প্রতিবাদ করায় নানা হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর গোলাম আজম বাড়িতে ফিরে আসে। তার কিছুক্ষণ পরই সাদ্দামসহ তার পরিবারের ১০-১২ জনসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫-৭জন সংঘবদ্ধভাবে লাঠি সোটা, লোহার রড নিয়ে অতর্কিত বসতভিটায় ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় ঘরের দরজা, শোকেসসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙ্চুর করে। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন : সকালের বক্তব্য থেকে সরে আসলেন সিইসি
এসময় হামলাকারীর মধ্যে মৃত তফদ্দী মামুদের ছেলে মো. খায়রুল (৪৫) ও মো. জিকরুলের ছেলে মো. মশিউর (২২) সোকেস থেকে নগদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং আনুমানিক মূল্য ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ১ ভড়ি ওজনের স্বর্ণের গলার হার জোর করে বের করে নেয়।
বাধা নিষেধ করতে গেলে মো. খায়রুলের ছেলে মো. আরিফুল (২০), মো. কান্দু মামুদের ছেলে মো. সাদ্দাম (২৫) ও মৃত তফদ্দী মামুদের ছেলে মো. জিকরুল (৫৫) একজোট হয়ে গোলাম আজমকে জােপটে ধরে বেধড়ক কিলঘুসি মেরে জখম করে।
আরও পড়ুন : আ’লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না
তাকে বাঁচাতে বড় ভাই মো. আউয়াল হোসেন এগিয়ে আসলে তার উপর চড়াও হয় মো. কান্দু মামুদের আরও ৩ ছেলে মো. ফজল (২৪), মো. সামসুল (২৩) ও মো. তাজুল (২৬)। তারা এলোপাথাড়ি মারপিট করে আউয়ালকেও জখম করে।
এ অবস্থায় আর্তচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলা, ভাঙ্চুর ও লুটপাটকারীরা এই ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য শাসাতে থাকে। চলে যাওয়ার সময় বার বার মামলা করা হলে নির্যাতনের শিকার পরিবারের সকলকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে।
শনিবার রাতেই গোলাম আজম নিজে বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এতে সাক্ষী করা হয়েছে প্রতিবেশী মৃত ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম, মৃত বতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে বিরেন্দ্র নাথ রায়, আব্দুলের ছেলে মো. বেলাল হোসেন ও মো. খয়রাত হোসেনের ছেলে মো. জহুরুল ইসলামকে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের কাছ থেকে পাকিস্তানের শেখার আছে
এ ব্যাপারে গোলাম আজম ও আউয়াল হোসেন বলেন, বিবাদীরা সম্পূর্ণ আক্রোশমুলক পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া বাধিয়েছে। আবার সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে বেআইনীভাবে বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ভাঙ্চুর মারপিট ও লুটপাট করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় এখন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
কারণ প্রতিপক্ষরা অত্যন্ত দূর্ধর্ষ ও আইন লঙ্ঘনকারী। তারা দাঙ্গাবাজ, মামলাবাজ ও অবৈধ জনশক্তিধর কুচক্রীমহল হওয়ায় যে কোন সময় আবারও তাদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়াসহ প্রাণহানির শিকার হতে পারি।
সান নিউজ/এইচএন