মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন রোধ ও স্থায়ী সমাধানে ভাঙন আক্রান্ত গ্রামবাসীর সার্বিক দুর্ভোগ নিরসন ও বসতভিটা, ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নবাসী মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন : বিধ্বস্ত বিমানে ছিল প্রশিক্ষণ মর্টার শেল
রোববার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাবাজার শিক্ষার্থী সংসদের ব্যানারে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
এ সময় বাংলাবাজার ইউনিয়নের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা সরদারকান্দি, শম্ভু হালদারকান্দি, মহেশপুর শান্তিনগর, বাংলাজার নদীর পাড়, ভূ-তারচর ইসলামপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার চলমান নদীভাঙন রোধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর, বাংলাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল সরকার, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র সোহেল রানা রানু,কাউন্সিলর আবু সাত্তার মুন্সী, বাংলাবাজার শিক্ষার্থী সংসদের সভাপতি এইচআর শাহরিয়ার হাবিব, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহসিন, শিক্ষক ও সাংবাদিক মুহাম্মদ সাইফুর রহমান টিটু প্রমুখ।
আরও পড়ুন : সকালের বক্তব্য থেকে সরে আসলেন সিইসি
পরে মানববন্ধন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধনে চাঁন মিয়া বলেন, আমার ৮০ শতাংশ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমি এখন অসহায় পরে গেছি। আমি চাই না আর কারো জমি এভাবে জমিগুলো নদীতে বিলীন হোক।
নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার ১০০ শতাংশ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সেলিম বলেন, আমার ৮ শতাংশ জমি বিলীন হয়ে গেছে।
এইচআর শাহরিয়ার হাবিব বলেন, আমরা নদী ভাঙ্গন কবলিত ইউনিয়নবাসী। ১৯৭০ সাল হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনবার ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছি। গত ২৭ বছর পূর্বে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে কিছু ফসলি জমি ব্যতিত পুরো ইউনিয়নটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছিলো। দীর্ঘ ২৭ বছর বছরের নাগরিক চেষ্টায় নতুন করে গ্রাম বস্তভিটা পুনর্গঠনের মাধ্যমে ইউনিয়নবাসী লাভ করে।
আরও পড়ুন : আ’লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না
আরও বলেন, দুঃখের বিষয় যে, আবারো সেই ভাঙ্গন জনমনে উদ্ধেগ উৎকন্ঠার সৃষ্টি করেছে। বাংলাবাজার ইউনিয়নের বানিয়াল আসলিরচর পূর্বকান্দি ও পশ্চিম সরদারকান্দি, শম্ভুহালদার, বানিয়াল ইসলামপুর ভূ-তারচর, বানিয়াল মহেশপুর-পশ্চিম ও পূর্বকান্দি, খাঁবাড়িকান্দি, শান্তিনগর গ্রাম নদী ভাঙনে ৭০ ভাগবিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১ থেকে দেড় হাজার ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে আমরা নদী ভাঙনে চরম আশঙ্কায় রয়েছি।
সান নিউজ/এইচএন