মো: মনির হোসেন, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে বিয়ের পর স্বামী তাকে ত্যাগ করে। স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী ১৪/১৫ বছর ধরে বাপের বাড়িতেই বসবাস করেন। পাশের বাড়ির ঘর জামাই উসমান আলী জোর করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারী ও তার পরিবার জানতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা।
আরও পড়ুন: এবার সিঙ্গাপুরেও প্রতিবাদ
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে, উসমানের পরিবার ৭ মাসের বাচ্চাটি নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের কুষ্টিয়া ১মখন্ড গ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানিহারী ইউনিয়নের কুষ্টিয়া ১মখন্ড গ্রামের ভুক্তভোগী ওই নারী ছোট বেলা থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। ১৪/১৫ বছর আগে কুলসুমের বিয়ে হলেও টিকেনি সংসার। এরপর থেকে স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী বাপের বাড়িতেই বসবাস করছেন। ওই মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে পাশের বাড়ির ঘর জামাই উসমান আলী জোর করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে তার পরিবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে, জানতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা। কিভাবে কি হলো তা জানতে চাইলে, ভুক্তভোগী তার পরিবারকে সব কিছু খুলে বলেন। ভুক্তভোগীর অসহায় বাবা চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাক চাপায় ভাই-বোনের মৃত্যু
এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উসমানের পরিবার অর্থ সম্পদের লোভ দেখিয়ে ৭ মাসের বাচ্চাটি নষ্ট করতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। তাতে রাজী না হওয়ায়, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পরে ওই ঘটনায় গত ৬ জুলাই ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী নারীর পিতা বলেন, এলাকায় মুখ দেখাতেও লজ্জা লাগে। এখন আমি আমার এই প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে খুবই অসহায় অবস্থায় আছি। মরা ছাড়া কোন পথ দেখছি না। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
আরও পড়ুন: উইন্ডিজকে বাংলাওয়াশ করলো টাইগাররা
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উসমান আলীর বাড়িতে গেলে, ঘরটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে স্থানীয়রা জানান, টাকা দিয়ে সুরাহার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উসমান তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
এ ব্যাপারে কানিহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ মাস্টার জানান, ঘটনার সত্যতা পেয়ে, ওই পরিবারকে আমি বলেছি মেয়েটিকে গ্রহণ করতে। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার জন্য যে দায়ী, তাকেই দায়ভার নিতে হবে।
আরও পড়ুন: অস্ত্র ও ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা গ্রেফতার
বিষয়টি নিশ্চিত করে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল